বাংলাদেশের প্রথম ভূস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ হিসাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ১১ মে ২০১৮ মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ। এই প্রকল্পটি তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন ৯ ব্লক ৫ রকেটের প্রথম পেলোড উৎক্ষেপণ ছিল।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলেও, কোনো স্থানীয় বিজ্ঞানী বা গবেষক সেই প্রকল্পে অবদান রাখার সুযোগ পায়নি।
দেশের মানুষ ভেবেছিল,বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটি বাণিজ্যিক বিবেচনায় উৎক্ষেপণ করার কারণে এখান থেকে বাংলাদেশ অনেক মুনাফা অর্জন করবে।
বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) সর্বশেষ নিরীক্ষা স্যাটেলাইটের অবচয় বা ডেপ্রিসিয়েশন আমলে না নিয়েই, প্রতিবেদনে বলছে,(২০২১-২২) কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দেখানো হয় ৮৫ কোটি টাকা।
কিন্তু অবচয় ধরা হলে মুনাফার বদলে লোকসান দাঁড়ায় প্রায় ৬৬ কোটি টাকা।যার মানে পুরো বিষয়টাই একটা শুভঙ্করের ফাঁকি।আগের অর্থ বছরেও লোকসানের পরিমাণ প্রায় সমপরিমাণ।
প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা বাজার বিশ্লেষণ কার্যকারিতা যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়নি,যার ফলশ্রুতিতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছে দেশ।
দেশীয় কোন গবেষণা প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন গবেষক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত না থাকায়, জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে অন্যের তৈরি উপগ্রহ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।কারণ উপগ্রহ প্রস্তুতকারী সংস্থা উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া ও ডেটার পুরো বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকে, যা গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
যেহেতু বাংলাদেশের উপগ্রহটি বিদেশি কোম্পানি দ্বারা নির্মিত, তাই আমাদের জাতীয় তথ্য নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
Leave a Reply