ভালো সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েও শেষদিকে খেই হারাচ্ছে বাংলাদেশ। নাঙ্গেলিয়া খারোতের তোপে ১০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে লাল সবুজরা। তাওহীদ হৃদয়, নাজমুল হোসেন শান্তর পর বিদায় নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তিন জনই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে উইকেট বিলিয়েছেন।
সমতায় ফেরার মিশনে শনিবার (৯ নভেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৪২ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ১৮৭ রান। ৩ বলে ২ রানে জাকের আলী আর ৬ বলে ১ রানে অপরাজিত থেকে ব্যাট করছেন নাসুম আহমেদ।
আগের ম্যাচের যেন আবার ফিরিয়ে আনছে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৪ রান করে সুবিধাজনক স্থানে থাকা লাল সবুজরা ১৮৪ রানে পৌঁছাতে হারিয়ে বসেছে আরও ৩ উইকেট। ১৬ বলে ১১ রান করে তাওহীদ হৃদয়, ১১৯ বলে ৭৬ রান করে নাজমুল হোসেন শান্ত আর ৯ বলে ৩ রান করে খারোতের শিকার হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন জনই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েছেন। বলা যায়, খারোতে উইকেট তুলে নেননি, বরং বিলিয়ে দিয়েছেন শান্তরা। দলের রানের গতি বাড়াতে অবশ্য ঝুঁকিটা নেয়া জরুরি ছিল অনেকক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকা শান্তর। কিন্তু পরপর ২ উইকেট পড়ার পরও ঝুঁকি নিয়ে দলকে বিপদেই ফেলে গেছেন দলের সিনিয়র তারকা মাহমুদউল্লাহ। আগের ম্যাচে দলের বিপদের সময় ৫ বলে মাত্র ২ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি।
তার আগে অবশ্য সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে দুটি জুটি গড়ে দলকে দারুণ অবস্থানে রেখেছিলেন শান্ত। সৌম্যের সঙ্গে ৭১ রানের পর মিরাজের সঙ্গে গড়েছিলেন ৫৩ রানের জুটি। ৪৯ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৩৫ রানে থামেন সৌম্য। যদিও রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতে পারতেন তিনি। কারণ স্টাম্পে হিট করলেও বল পিচ করেছিল আউটসাইড লেগে। কিন্তু অন্য প্রান্তে অধিনায়ক নাজমুলের সঙ্গে কথা বলে সাড়া না পাওয়ায় রিভিউ না নিয়েই ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা ধরেন সৌম্য। অন্যদিকে রশিদ খানের গুগলি ভুল করে বোল্ড হন মিরাজ। ৩৩ বলে ২২ রানে থামে তার ইনিংস।
এর আগে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের শুরুটা করেছিলেন তানজিদ। তবে ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি তিনি। এএম গজনফরকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই টাইমিংয়ে গড়বড় করে মিড অনে ধরা পড়েন মোহাম্মদ নবির হাতে। তাতে ১৭ বলে ৩ চার ১ ছয়ে ২২ রানে থামল তানজিদের ইনিংস।
আগের ম্যাচে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশ এ ম্যাচে পরিবর্তন এনেছে দুটি। মুশফিকুর রহিমের জায়গায় ঢুকেছেন জাকের আলী অনিক। দেশের জার্সিতে ১৯ টি-টোয়েন্টি ও ১ টেস্ট খেলা এ উইকেটরক্ষকের এবার অভিষেক হলো ওয়ানডেতে। অন্যদিকে রিশাদ হোসেনের জায়গায় একাদশে এসেছেন নাসুম আহমেদ। এই বাঁহাতি সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছিলেন।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানের বড় জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে রশিদ-নবিরা।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, সেদিকুল্লাহ অটল, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, রশিদ খান, নাঙ্গেলিয়া খারোটে, আল্লাহ গজনফর ও ফজলহক ফারুকী।
Leave a Reply