কলরেকর্ড নিয়ে ফেসবুকে আওয়ামী লীগের সতর্কবার্তা!

৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানে মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী নিজেদের রক্ষা করতে আত্মগোপনে চলে গেছেন। কেউ আছেন দেশে, কেউ দেশের বাইরে। অনেকে আবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ অবস্থায় দলের কর্মী-সমর্থক ও ছোট ছোট নেতারা পড়েছেন বেকায়দায়। হামলা মামলার ভয়ে তারা বাড়িঘরে থাকতে পারছেন না। বাইরে থাকা অনেকে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে। কেউ কেউ আছেন আর্থিক সংকটে।

এরই মাঝে সামাজিক মাধ্যমে ঘুরছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কলরেকর্ড। দলের এমন রোষানলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্প্রতি তাদের ভেরিফাই ফেসবুকে একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করে জানানো হয়েছে যে, ‘অবৈধ সরকার মিডিয়া দিয়েও ছড়াচ্ছে গুজব। শেখ হাসিনার কথা আওয়ামী লীগের কর্মীরা নয়, প্রচার করছে মিডিয়া ও বিএনপি-জামাতের কর্মীরা। ফেক কল রেকর্ড বানিয়ে প্রচার করে, মানুষকে বিভ্রান্ত না করে, নিরাপত্তা দিন, দ্রব্যমূল্য কমান।⁩’

এর আগে, টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে হেলিকপ্টারযোগে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও কেন্দ্রীয় অনেক নেতার খোঁজ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তবে কেউ কেউ হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছেন।

এত বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন দলকে শক্তিশালী করা যায়নি, সেটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। অনেকে আবার দলের সিনিয়র নেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

আওয়ামী লীগের একাধিক সিনিয়র নেতার ভাষ্যমতে, রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। এক দল সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে না। আমরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলাম। এখন ক্ষমতায় নেই। দেশের যে পরিস্থিতি, সেজন্য অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে নেতাকর্মীরা আবার মাঠে নামবেন। এখন নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি করা উচিত নয়। নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *