সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডি এবং সংস্থাটির গুরত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দেশে ফিরছিলেন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। দূতাবাসের প্রটোকলে তিনি গাড়ি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে পৌঁছান।
গাড়ি বিমানবন্দরে নামার পর একদল লোক এসে আইন উপদেষ্টাকে ঘিরে ধরেন। উপদেষ্টা জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত হেনস্তাকারীরা তাকে বিরক্ত করেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তাকারী সেই আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল খানের বাড়ি টাঙ্গাইলে।
তিনি সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ার বাসিন্দা তিনি। তার এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে টাঙ্গাইলের সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তার শাস্তি চেয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
ওই এলাকার মনসুর বিন সাইদ বুলবুল বলেন, আইন উপদেষ্টার সঙ্গে এই দুর্ব্যবহার করা শ্যামল খানের ঠিক হয়নি। আমরা তার শাস্তি দাবি করছি।
আকুরটাকুর পাড়ার আরেক বাসিন্দা মো. মামুন বলেন, বিগত জাতীয় নির্বাচনের সময় শ্যামল খান দেশে এসে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের টাকা দিতেন। তিনি আওয়ামী লীগের ডোনার ছিলেন। সেই টাকা দিয়ে অবৈধভাবে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। তিনি যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন তা টাঙ্গাইলের জন্য মানহানিকর। আমরা তার বিচার চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মো. আল আমিন বলেন, ড. আসিফ নজরুল খান একজন সম্মানিত ব্যক্তি। ২৪-এর অভ্যুত্থানের একজন যোদ্ধা। আগামীকাল রোববার শ্যামল খানের বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
শ্যামল খানের ভাই কামরুল হাসান খান বাবুল বলেন, শ্যামল খান প্রায় ৩০ বছর ধরে সুইজারল্যান্ডে বসবাস করছেন। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে শ্যামল চতুর্থ। তিনি বিগত ১০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
সুইজারল্যান্ডের বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে যে সেখানে সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply