নেত্রীর নাম ছিল ‘হ’ দিয়ে, বাহিনীর নাম ‘হ’, সেটা ছিল ‘হ’ যুগ!

রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ নভেম্বর) এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বিক্ষোভে সারজিস আলম বলেন, এই গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট তো দূরের কথা, এর আশেপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেও ‘গুজব লীগ’ নামতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, তারা যদি কোনো ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবো।

পরে গণজমায়েতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ‘হ’ দিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন।

পাঠকদের জন্য কবিতাটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

সে এক যুগ ছিলো ভাই।

স্বর্ণ যুগ যাকে বলে।

প্রত্যেক যুগের আলাদা আলাদা নাম থাকে।

সেই যুগের নাম ছিলো – ‘হ’ যুগ।

সব কিছুতেই ‘হ’।

নেত্রীর নাম ‘হ’ দিয়ে ছিলো তো বটেই।

বাহিনীরও নাম ছিলো- হেলমেট বাহিনী।

তাদের হাতে হাতুড়ি।

হাতুড়ি না থাকলে হকিস্টিক।

‘হ’ এর বাইরে এরা যায় নাই।

‘হ’ ভাই, আসলেই যায় নাই।

এমনকি সেই ‘হ’ যুগে দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত হোটেলের নামও হ দিয়ে।

হারুনের ভাতের হোটেল।

এই হোটেলে যারা খেতো, তারা তো খেতোই।

হোটেলে খাওয়ার সুযোগ না পাওয়া পাবলিকরা যা খেতো- তার সবচেয়ে পরিশীলিত নাম

হতে পারে- ‘হ’ মারা খাওয়া।’

‘হ’ যুগে পত্রপত্রিকা, টিভি ফিভি বলে কিছু ছিলো না।

যা ছিলো তার নামও ‘হ’ দিয়ে। হলুদ সাংবাদিকতা।

এর বাইরে হিংসা, হানাহানি, হুমকি, হুংকার, হত্যা -এসব ছোটখাটো ‘হ’ এর দাপট তো ছিলোই।

১৫ বছর পর ‘হ’ যুগের সমাপ্তি ঘটলো।

‘হ’ পালিয়ে গেলেন। যে বাহনে করে পালালেন, তার নামও ‘হ’ দিয়ে । হেলিকপ্টার।

‘হ’ দিয়ে শুরু, ‘হ’ দিয়ে শেষ। আমি ভাবলাম, যাক ‘হ’ যুগের অবসান হলো তাহলে।

হায়, কিন্তু কীসের কি।

এখন আবার নতুন করে ‘হ’ এর হাহাকার শুরু হয়েছে চারিদিকে ‘হ’ এর হাউকাউ।

নতুন ‘হ’ যুগ শুরু হয়েছে এভাবে- হ্যালো আপা, হ্যালো, হ্যালো, আপা, আপা, হ্যালো হ্যালো হ্যালো।

হ্যালো আপা, জ্বী বলেন, হ্যালো, আপা, আপা, হ্যালো হ্যালো …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *