ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) সংসদীয় আসন থেকে বিএনপি’র হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সাবেক এমপি ও বিএনপি’র সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। একইসঙ্গে রুমিন ফারহানার রান্নার কাজে নিয়োজিত নারী ও ব্যক্তিগত গাড়ির চালকও নির্বাচন করতে চান।
খোদ রুমিন ফারহানাই এমন তথ্য দিয়েছেন। নিজের মনোনয়ন পাওয়াটা শতভাগ নিশ্চিত বলে সাংবাদিকদেরক জানিয়েছেন বিএনপি নেত্রী রুমিন।
অন্যদিকে এক আলোচনা সভায় তিনি জানিয়েছেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসায় রান্নার কাজে নিয়োজিত নারী ও গাড়ির চালককেও তিনি তাদের সংসদীয় আসন থেকে ভোটে দাঁড়াতে বলে দিয়েছেন।
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেত্রী রুমিন ফারহানা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও বেশ আলোচিত ছিলেন। সভা-সমাবেশসহ টকশোতে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর কথা বলতেন ও কড়া বার্তা দিতেন। সরকারের পট পরিবর্তনের পরও তিনি আলোচনায়।
এখন তিনি নিয়মিতই নিজ জেলায় আসছেন। তবে জেলা বিএনপি’র একটি বড় অংশ তার পক্ষে নেই।
শনিবার রাতে সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপি’র এক কর্মী সভায় রুমিন ফারহানা দলীয় একটি কমিটিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমার মুখ প্রতিবাদী মুখ। আওয়ামী লীগের ৩০০ এমপি’র বিরুদ্ধে আমি দাঁড়াইছি।
তিনি বলেন, ‘এখন গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। আমার বাড়িতে যে রান্না করে সে নির্বাচন করতে চায়। আমার ড্রাইভার বলে সাতক্ষীরায় নির্বাচন করবে।
আমি তাদেরকে বলেছি জনগণ ভোট দিলে কেন করবি না। কোনো অসুবিধা নাই। দেশে গণতন্ত্র এসেছে। আমরা রক্ত দিয়ে গণতন্ত্র এনেছি।’
এদিকে শনিবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সারকারখানা এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন রুমিন ফারহানা। এমপ্লয়িজ ক্লাবে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিষ্কারভাবে বলেছেন- অন্তর্বর্তী সরকার গণমানুষের সরকার। এই সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। তবে সরকার যদি নিজেদের ব্যর্থ করে তাহলে তাদের কিছু করার নেই। একটি গণতান্ত্রিক দেশ সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে। সেজন্যই বিএনপি বারবার অবাধ নির্বাচনের জন্য যেই পরিবেশ ও সংস্কার দরকার সেটি করার জন্য বারবার অনুরোধ করছে।’
এদিকে শুক্রবার রাতে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আমাকে স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। তিনি আমাকে ডেকে দলে নিয়েছেন। আমি জেলা, উপজেলা এমনিকি কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়েও মাথা ঘামাই না। আমার মাথায় সব সময় ঘুরপাক খায় কিভাবে বিএনপিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হাইলাইটস করা যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এ আসন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) থেকে নির্বাচন করা আমার বাবা ভাষা সৈনিক অলি আহমেদ ফেল করানো হয়েছিলো ভোটের বাক্স চুরি করে ঢাকায় নিয়ে। এখন ফ্যাসিস্টরা নেই। ভোটের বাক্স চুরির সুযোগ থাকবে না। আমার বাবা যেহেতু এ আসন থেকে নির্বাচন করেছেন আমিও এখান থেকেই করবো।’
Leave a Reply