বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

সুনামগঞ্জে জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় গ্রুপের পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নবগঠিত কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে কমিটি থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা এবং কমিটিতে স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারের লক্ষ্যে গত ১০ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে ইমনদ্দোজা আহমদকে আহ্বায়ক ও মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব করে ৯৯ সদস্যের সুনামগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হন। সবাইকে নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বঞ্চিত পক্ষ মানববন্ধন করে।

তবে আজ নতুন কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। সকাল থেকেই সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। দুপুরের দিকে কমিটিতে স্থান না পাওয়া শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের পাঁচজন আহত হন।

জেলা কমিটি থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থী তানভীর আহমদ বলেন, সুনামগঞ্জে কমিটি গঠন নিয়ে বৈষম্য হয়েছে। আন্দোলনে সক্রিয় থাকা অনেকেই কমিটিতে স্থান পাননি। আমরা জেনেছি, আজ শিল্পকলা একাডেমিতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসবেন, তাই কমিটির বিষয়ে আলোচনা করতে আমরা এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা শাখার কমিটির আহ্বায়ক ইমনউদ্দোজা আহমদ বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে তারা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুক। আজ আমাদের শান্তপ্রিয় সভায় কমিটি থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমি আইনি পদক্ষেপ নেব, যাতে যারা হামলা করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, কমিটি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুপক্ষের মাঝে দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *