আফ্রিদির বিয়ের খবরে যা বললেন অভিনেত্রী দিঘী!

জুলাই বিপ্লবে ছাত্র জনতার বিপক্ষে থাকার অভিযোগ রয়েছে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির বিরুদ্ধে। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আড়ালে তিনি। তবে বিয়ের খবর সামনে আসায় ফের আলোচনায় এলেন।

গত বুধবার সারা দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আফ্রিদি ও টিকটকার রাইসার বিয়ের সাজের একাধিক ছবি দেখা গেছে। যেখানে বরের সাজে দেখা যাচ্ছে তাকে। কনের বেশে আছেন টিকটকার রাইসা। এতে অনেকের ধারণা বিয়ে করেছেন তৌহিদ আফ্রিদি-রাইসা। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিয়ের যেসব ছবি খবর হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে সেখানে পাত্রী রাইসা ছিলেন না বলে জানিয়েছে আফ্রিদির পরিবারসহ কনের পরিবার।

আফ্রিদির পরিবার জানান, রাইসার বিয়ে এক বছর আগেই হয়ে গেছে। রাইসা ও রামিশা জমজ বোন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাইসা খুব পরিচিত মুখ। তাই সবাই ধরে নিয়েছিল রাইসাকেই আফ্রিদি বিয়ে করেছেন। তবে রাইসাকে বিয়ে করেননি আফ্রিদি। আফ্রিদির সঙ্গে যার কাবিন হয়েছে তিনি রাইসার জমজ বোন রামিশা।

এদিকে বেশ অনেকদিন ধরেই গুজন ছিলো আফ্রিদির সঙ্গে প্রেম করছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। তবে বিয়ের খবরে গুঞ্জন অসত্য প্রমাণিত হলো। দিঘী গণমাধ্যমকে বলেন, আফ্রিদির সঙ্গে আমার কখনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। সে সবসময় আমার ভালো বন্ধু। যাক আল্লাহ বাঁচিয়েছে। কয়েকদিন পর পর ওর সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে যেভাবে নানা গুঞ্জন হতো তা নিয়ে বেশ বিরক্ত ছিলাম। অবশেষে একটু শান্তি পেলাম।

দিঘী আরও বলেন, আমি যতটুকু জানি পারিবারিকভাবে কনের বাড়িতেই আপাতত কাবিন হয়েছে। পরে বড় পরিসরে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হবে।

এদিকে আফ্রিদির বিয়ে নিয়ে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা চর্চা চলছিল ঠিক তখন আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসে বিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আফ্রিদি। তিনি বলেন, অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা গেছে গোপনে বিয়ে করেছি। বিষয়টি তা নয়। বিয়েতে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। শুধুই কাবিন হয়েছে। মূল অনুষ্ঠান তো পরে করা হবে। আর আমি তো দেখতে গিয়ে বিয়ে করেছি।

তরুণ প্রজন্মের এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর জানান, তার স্ত্রীর বোন টিকটক করেন। দুজনই দেখতে অনেকটা একইরকম। এ জন্য অনেকে বিভ্রান্ত হয়ে তার স্ত্রী রামিশাকে টিকটকার মনে করছেন।

বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি বলেন, মেয়েকে দেখতে গিয়ে তাদের বাড়িতে বিয়ে করে ফেলেছি। পারিবারিক আয়োজনেই হয়েছে তা। আর সেই আয়োজনে দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বড় পরিসরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার অনুষ্ঠান করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *