কোরবানির ঈদ আসার আগেই চুলের যত্নে একটু সময় দিতে পারেন ছেলেরা। কেন না নিয়মিত কিছু ঘরোয়া টিপস মেনে চললেই মুক্তি পেতে পারেন খুশকির যন্ত্রণা থেকে।
খুশকির সমস্যা নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়। তবে নারীদের তুলনায় পুরুষের ভেতর খুশকির প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
বেশিরভাগ পুরুষই সারা বছর খুশকির সমস্যায় ভোগেন। অনেককে আবার ঋতুভিত্তিক খুশকির সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।
তবে যে কারণেই খুশকির সমস্যা হোক না কেন ছয়টি উপাদান খুশকি দূর করতে বেশ কার্যকরী। তাই আসুন জেনে নিই, ঘরের ছয়টি উপাদান দিয়ে সহজেই খুশকির সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি।
খুশকি দূর করার উপায়
প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, খুশকির সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে নিম, মেথি, ভৃঙ্গরাজ, জবা ফুল, অ্যালোভেরা এবং আমলকী। এ ছয়টি উপাদান মাথার খুশকি দূর করতে দারুণ কাজ করে।
মাথার স্ক্যাল্পের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে নিমের অ্যান্টিফাঙ্গালের। তাই খুশকির বিরুদ্ধে নিম প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারে। মাথার খুশকি দূর করতে সপ্তাহে তিনদিন মাথার স্ক্যাল্পে নিম তেল ম্যাসাজ করুন। জবা ফুলের নির্যাসও মাথার খুশকি আর চুল কালো করতে দারুণ কাজে আসে।
ভালো ফলাফলের জন্য একটি ভালো ব্র্যান্ডের নারিকেল তেলে নিম পাতা কুচি, জবা ফুল ভালো করে গরম করে তেলের মধ্যে নির্যাস বের করে নিন। এইবার এই তেল সপ্তাহে তিনদিন ব্যবহার করুন।
একই পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে পারেন ভৃঙ্গরাজকে। মাথার ত্বকে শুষ্কতা, অকালপক্বতা খুশকি দূর করতে ভৃঙ্গরাজ অব্যর্থ। এছাড়া এতে থাকা আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ আরও বিভিন্ন উপাদানসমৃদ্ধ হওয়ায় ভৃঙ্গরাজকে ‘ভেষজের রাজা’ বলা হয়।
খুশকি দূর করার একটি কার্যকরী ঘরোয়া উপাদান হলো মেথি। নারিকেল তেলে আধ ভাঙা করে মেথি মিশিয়ে নিন। মেথি যত ভিজবে এর তেল তত খুশকি ও চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
খুশকি দূর করার আরেকটি কার্যকরী উপায় হলো অ্যালোভেরা। আমলকীও খুশকি দূর করার চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে পারে। তাই সপ্তাহে একদিন অ্যালোভেরা অথবা আমলকীর রস মাথার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। এতে খুশকি দূর হওয়ার পাশাপাশি চুল হবে আগের চেয়ে ঘন ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
Leave a Reply