টিভি পর্দায় ক্যামেরার সামনেই রীতিমতো মারধরের হুমকি দিয়ে চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী বলেছেন, ‘উইকিপিডিয়াতে স্বামীর নাম ছিল শাকিব খান। সেটা কে পরিবর্তন করল? যেহেতু আমি এখন জংলি মুডে আছি, দুই-তিন ঘণ্টা আগে পেটাব, তারপর কথা…’
মাছরাঙা টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে এই হুমকি দেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের প্রাক্তন স্ত্রী।
জানা গেছে, সম্প্রতি ঢাকাই চলচ্চিত্রের দুই জনপ্রিয় তারকা শরীফুল রাজ ও শবনম বুবলীর বিয়ে নিয়ে গুঞ্জন রটেছিল; যার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল উইকিপিডিয়ার। মূলত সেখান থেকেই ছড়িয়েছে বিয়ের গুঞ্জন। উইকিপিডিয়ায় বুবলীর স্বামী হিসেবে রাজ এবং রাজের স্ত্রী হিসেবে বুবলীর নাম ‘জ্বলজ্বল’ করছিল, যা দেখে চারদিকে শোরগোল-ফিসফাস। যদিও উইকিপিডিয়ায় যে কেউ তথ্য সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারে। এরপরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যান রাজ-বুবলী। ভিন্নভাবে ক্ষোভও প্রকাশ করেন রাজের সাবেক স্ত্রী পরীমনি।
যেখানে দাবি করা হয়, বিয়ে করেছেন রাজ-বুবলী। মূলত উইকিপিডিয়াতে কেউ ইচ্ছে করেই বুবলীর নামের পাশে স্বামী হিসেবে শরিফুল রাজের তথ্য সংযোজন করেন। সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে এই বিয়ের গুজব।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে কথা বলেন চরম ক্ষুব্ধ বুবলী। যেখানে তাকে শরিফুল রাজের সঙ্গে বিয়ের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়। সেই প্রশ্ন শুনেই ক্ষেপে ওঠেন অভিনেত্রী। বলেন, ‘যারা তথ্যগুলো এডিট করেছে তাদেরকে ধরে মিনিমাম কয়েক ঘণ্টা পেটানো উচিত। মানুষের মনে যখন নোংরামি, হিংসা থাকে তখনই এসব ছড়ানোর চিন্তাভাবনা করে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহায় বুবলী অভিনীত ‘রিভেঞ্জ’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। অ্যাকশন, কমেডি, রোমাঞ্চ ও ইমোশনাল বিষয়বস্তু নিয়ে এটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মাদ ইকবাল। যাতে জুটি বেধেছেন চিত্রনায়ক জিয়াউল রোশান ও শবনম বুবলী। সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার রাতে এফডিসির ৭ নং ফ্লোরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে একটু উত্তেজনার তৈরি হয়। সেখানে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এই নায়িকা।
ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ঈদে তুফান আসছে তুফানের তোড়ে আমার সিনেমা টিকবে তো। গত ঈদের মতো আপনার সিনেমা চালাতে মন্ত্রীকে দিয়ে হলে ফোন দিতে হয়েছিলো এবারও কি ফোন দিতে হবে কি না। এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন বুবলী। সেই সাংবাদিককে সাবার সামনে ডেকে নেন রিভেঞ্জ নায়িকা।
বুবলী বলেন, ‘আপনি প্রমাণ থাকলে হাজির করুন। প্রমাণ দিতে পারবেন? আমি ফোন করিয়েছিলাম। তাহলে এখনই প্রমাণ দিন। প্রমাণ দিতে না পারলে আমি বলবো আপনারা হলুদ সাংবাদিকতা করছেন। এটা করবেন না। আমার মনে হয় সময় এসেছে, এমন হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার।’
তবে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে আনেন পরিচালক। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনেমার প্রযোজক-পরিচালক মো. ইকবাল ছাড়াও নায়ক রোশান, নির্মাতা প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু, চিত্রনায়ক ওমর সানী, অনুপম রেকডিংয়ের কর্ণধার আনোয়ার হোসেন।
Leave a Reply