আ. লীগকে নিষিদ্ধ না করার কারণ জানালেন ড. জাহেদ উর রহমান!

আওয়ামী লীগ কেন নিষিদ্ধ হচ্ছে না ব্যাখ্যা করলেন ড. জাহেদ উর রহমান তার মতে আজকে যে অধ্যাদেশ টা ফাইনালাইজ করা হলো যেখানে সংগঠনকে বাদ দেয়া হয়েছে, সংগঠনকে বিচার করা যাবে এই ক্লোজ রাখা মানে কি আওয়ামী লীগকে বিচার করবোই, আইনে যদি এটা থাকেও সে ক্ষেত্রে একটা কেস ফাইল করতে হবে অন্তত , আওয়ামী লীগের সংগঠন অনুযায়ী আমি বিচার করতে চাই, সরকার ওটুকু রাখতে গেলো না, এটা রাখা মানে হচ্ছে নেসেসারিলি এটা বোঝাচ্ছে না আওয়ামী লীগকে আমরা নিষিদ্ধ করার জন্য বা আওয়ামী লীগের সংগঠন হিসেবে বিচার করার জন্য করব।

এর আগে আইন উপদেষ্টা বলেছিলেন আমাদের তো আরো আইন আছে যেমন সন্ত্রাস দমন, কিন্তু আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাস দমন আইনে নিষিদ্ধ করা যাবে না,এই ব্যাখ্যা টেনে জাহেদ উর বলেন, সরকার পারেন টেকনিক্যালি কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি যখন এক্সিকিউটিভ অর্ডারে নিষিদ্ধ করেন, ছাত্রলীগকে যেভাবে করলেন, এর আগে,জামাতকে যেভাবে করা হয়েছিল তখনো সমালোচনা ছিল, এবং আমরাও একটা সমালোচনা করব, আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করতেই হতো, রেদার আইসিটি এ্যাক্টে এখানেই করা উচিত ছিল।

কারণ এটা একটি বিচারিক প্রক্রিয়া আপনি যখন একটা কেস ফাইল করছেন আওয়ামী লীগ তার পক্ষে লইয়ার আনবে এবং বিদেশ থেকে লইয়ার এসে ফাইট করবে, যেটা রাখার সুযোগ রয়েছে, শেষে একটা রায় হত, সেটার একটা লিস্ট হতো এবং এই লিস্টের একটা বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হতো, আপনি এক্সিকিউটিভ অর্ডারে কালকে বলে দিতে পারেন আওয়ামী লীগ না্‌,ধারা নয় অনুযায়ী, কিন্তু সরকার এটা করছে না ফর সিওর, সফট টার্গেট ছিল ছাত্রলীগ কারণ টেকনিক্যালি ছাত্রলীগ তো আওয়ামী লীগের পার্টনার, ছাত্রলীগ আর পি অনুযায়ী ছাত্র সংগঠন কোনো অঙ্গ সংগঠন হতে পারে না, এটা একটা ভাতৃ-প্রতি হিম সংগঠন, একটা সফট টার্গেট করা হয়েছে এ কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হচ্ছে না, কিন্তু প্রচুর রাজনীতি হবে, সার্বিক বিবেচনায় তাই মনে করা হচ্ছে, তবে যদি প্রচন্ড চাপ তৈরি হয় তাহলে এই অডিয়েন্স আবার পাল্টাতে পারে।

এক্ষেত্রে উনি উপদেষ্টা আসিফের বক্তব্য টেনে এনে বলেন, উপদেষ্টা আসিফ জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে প্রধান কারণটি উল্লেখ করেছেন, সেটা হচ্ছে বিদেশি দূতাবাস গুলোর বেশ বড় ধরনের চাপ রয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার জন্য এবং একই সাথে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকেও ব্লেম করেছেন।

ড. জাহেদ উর রহমানের মতে ছাত্ররা সামনে দল গঠন করবে, এবং তাদের দায়িত্বশীলরা কথা বলছেন এই ব্যাপারটা আমি ভীষণ স্বাগত জানাই, আমি মনে করি রাজনীতিতে এসব কৌশল থাকবে এটা স্বাভাবিক। পরিশেষে উনি বলেন সরকার এই অপশনটা রাখা মানে আওয়ামী লীগের বিচার করা না, দন্ডবিধিতে ৩০২ ধারা রাখা মানে আপনাকে আমি ফাঁসির জন্য ডাকবোই নট নেসেসারি, এছাড়া সরকারকে বহির্বিশ্বের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে এটাও একটা কারণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *