বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনটি ছিল উত্তেজনায় পূর্ণ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয়রা দারুণ শুরু করলেও, সহজ ক্যাচ ফেলার হতাশার পর মেহেদী হাসান মিরাজ একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসেন।
অধিনায়ক মিরাজের জন্য দিনটি ছিল মিশ্র অনুভূতির। প্রথমে তাইজুল ইসলামের বলে ক্যাচ ফেলে দেন মিরাজ, যা নিয়ে গোটা দল হতাশ হয়ে পড়ে। স্লিপে ক্যাচটি লুফে নিতে না পারায় মিরাজ আঙুলে চোট পান, কিছু সময় তিনি মাঠের বাইরে চলে যান এবং প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে, দ্রুত ফিরে এসে মিরাজ শানিত প্রতিশোধ নেন, ৯৭ রানে থাকা লুইসকে আউট করেন। উইকেটটি আসে স্লিপে, যেখানে শাহাদাত হোসেন দিপু দারুণভাবে ক্যাচটি ধরেন।
এদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটার লুইস ও আথেন্স সেঞ্চুরির খুব কাছে পৌঁছালেও শেষ পর্যন্ত তাদের মাইলফলক থেকে তিন রান এবং দশ রান দূরে থেকে আউট হন। লুইস ৯৭ রান করে আউট হওয়ার পর হতাশায় ভেঙে পড়েন, তবে ক্যাচটি নেয়ার পর দীপক তাকে সান্ত্বনা দেন। এরপর, তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯০ রানে আথেন্সও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। এই ভাবে দুই ব্যাটারকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করে বাংলাদেশ ম্যাচে কামব্যাক করে।
তবে দিনের শেষ সেশনে আবারও চাপ তৈরি করেন লুইস ও আথেন্স। তবে মিরাজের স্পিনের ফাঁদে পড়েন, যখন আথেন্স রান আউট হন। তাইজুল ইসলামের দুর্দান্ত থ্রোতে লিটন দাসের হাতে স্টাম্প ভেঙে আথেন্সের ইনিংসটি শেষ হয়।
বাংলাদেশের বোলিং এক কথায় ছিল নিখুঁত। পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। তাসকিনের ইয়র্কার ব্রাথওয়েটকে বিদায় করে এবং পরবর্তীতে ফাঁদে ফেলে পেছনে তাইজুলকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। ২৫ রানের মধ্যে বাংলাদেশের দুই উইকেট তুলে নেওয়া তাদের দুর্দান্ত বোলিংকে আরও উজ্জ্বল করে।
শেষপর্যন্ত, দিন শেষে বাংলাদেশের দল ২৫০ রানের মধ্যে ৫টি উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয়। মিরাজ ও তাইজুলের বোলিংয়ে দুর্দান্ত কামব্যাকের ফলে বাংলাদেশ শীর্ষে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। যদিও শেষ সেশনে লুইস ও আথেন্স কিছুটা প্রতিরোধ গড়েছিলেন, কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং শক্তি ও ফিল্ডিং ছিল এতটাই দৃঢ় যে, তাদের সেঞ্চুরি অক্ষুণ্ন রাখতে পারেননি।
এটি ছিল বাংলাদেশের জন্য এক স্মরণীয় দিন। মিরাজের অধিনায়কত্বে এবং দলের চমৎকার বোলিংয়ে, বাংলাদেশ প্রথম দিনেই দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছে।
Leave a Reply