বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগের খোঁজে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে **প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।** বিশেষত থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
### কী কারণে সতর্কতা সতর্কতা বার্তায় বলা হয়েছে, প্রবাসী কিছু অসাধু ব্যক্তি এবং এসব দেশে গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো বাংলাদেশি নাগরিকদের কম্পিউটার অপারেটর, টাইপিস্ট, কল সেন্টার অপারেটরসহ বিভিন্ন পদের জন্য আকর্ষণীয় বেতনের প্রলোভন দেখাচ্ছে। এসব প্রস্তাব ভুয়া ওয়েবসাইট, ই-মেইল, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
এসব স্ক্যাম সেন্টারে বাংলাদেশিদের সুকৌশলে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ক্যামের কাজে বাধ্য করা হচ্ছে।
### স্ক্যাম থেকে উদ্ধার কার্যক্রম **ব্যাংককের বাংলাদেশ দূতাবাস** জানিয়েছে, মিয়ানমার ও কম্বোডিয়ায় গড়ে ওঠা স্ক্যাম সেন্টারগুলো থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বা পালিয়ে আসা বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
### সতর্কবার্তার নির্দেশনা – বিদেশে চাকরির উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে কম্পিউটার অপারেটর বা সংশ্লিষ্ট পদের চাকরির প্রস্তাব পেলে যথাযথ যাচাই করতে হবে। – প্রস্তাব পেলে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET) অথবা বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য নিশ্চিত করতে হবে। – সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আরও সতর্ক হতে হবে। স্ক্যাম সেন্টারগুলো ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণা চালাচ্ছে।
### ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতারণা সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, স্ক্যাম সেন্টারগুলো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনে জড়াচ্ছে। প্রতারকরা বিনিয়োগের পরপরই লেনদেনের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে অর্থ আত্মসাৎ করছে।
### প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেশে এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সোশ্যাল মিডিয়া এবং অর্থনৈতিক লেনদেনে বিশেষ সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। মিথ্যা চাকরির প্রলোভন এবং স্ক্যামের শিকার হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে দায়িত্বশীল আচরণ এবং সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
### সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস স্ক্যাম প্রতিরোধে কাজ করছে এবং সংশ্লিষ্ট এনজিওসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
সতর্ক বার্তাটি বিদেশে কাজ করতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply