নেপালের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে লো স্কোরিং লক্ষ্যমাত্রা দাঁড় করায় বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে তাই বোলারদের দিকেই তাকিয়ে ছিল টিম টাইগার্স। দল ও সমর্থকদের সেই আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি পূর্ণতা দিয়েছে তানজিম সাকিব-মুস্তাফিজ-তাসকিনরা। লো স্কোরিং ম্যাচ হওয়া সত্ত্বেও তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২১ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে। সেই সঙ্গে সুপার এইটে খেলার নিশ্চিত করে।
নেপালের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে নেপাল অধিনায়কের সঙ্গে ২২ গজে বাগবিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায় টাইগার পেসার তানজিম সাকিবকে। অবশ্য এদিন খেলার শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তানজিম সাকিব। ক্রিজে নামার পর নেপাল অধিনায়ককে ক্ষেপিয়ে তুলে সফলও হন এ টাইগার পেসার।
মাঠে তানজিম সাকিবের আগ্রাসী মনোভাব দেখে সমর্থকদের জানার ইচ্ছা জাগে আসলে কি ঘটেছিল নেপাল অধিনায়কের সঙ্গে। সংবাদ সম্মেলনে এসে এ বিষয়ে মুখ খোলেন নেপাল অধিনায়ক। এ সময় সাকিবের প্রতি কোনো ক্ষোভ প্রকাশ না করে বরং টাইগার পেসারের প্রশংসা করতে দেখা যায়।
সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের মুখে সে সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে রোহিত বলেন, তানজিম আমার কাছে আসে এবং আমাকে মেরে খেলার জন্য বলে। আমি তখন তাকে বলি যাও, বল করো। আর কিছুই না। পরক্ষণেই রোহিত টাইগার পেসারের প্রশংসা করে বলেন, তানজিম সত্যিকার অর্থে অনেক ভালো বল করেছে। নতুন বলে সে আমাদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে। উইকেট অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। সে ঠিক জায়গায় বল করছিল। সে আমাদের কঠিন প্রশ্নের মুখে ফেলেছিল।
প্রসঙ্গত, নেপালের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে কুশেল ভুর্তেল ও অনীল শাহকে সাজঘরে ফেরানোর পর ক্রিজে আসেন নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউডেল। ওই ওভারের শেষ বলটি ডেলিভারি দেয়ার পর রোহিতের দিকে রাগান্বিতভাবে তাকান তানজিম। সে সময় নেপাল অধিনায়ককে কিছু একটা বলতে দেখা যায়, পরে এগিয়ে যান টাইগার পেসারও। এতে দু’জনে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। পরে দ্রুত অন্যরা এসে তাদের আলাদা করেন। অবশ্য পরের ওভারেই তানজিম নেপাল অধিনায়কের উইকেটটি তুলে নেন।
এদিন নেপালের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২১ ডট দিয়ে ২ মেডেনসহ ৭ রানে প্রথম পাঁচ ব্যাটারের চারজনকেই তুলে নেন তানজিম। তার ম্যাজিকাল স্পেলেই মূলত ভেঙে যায় নেপালের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড। দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জুটে তার ভাগ্যে। বল হাতে এদিন তাকে যোগ্য সহায়তা করেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৭ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট।
Leave a Reply