রাজধানীর ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীসহ আনুমানিক ৩০টি কলেজের শিক্ষার্থীরা সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ডিএমআরসি শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এরপর প্রশ্ন উঠেছে- শিক্ষার্থীদের এমন অবস্থান, বিক্ষোভ ও এই হামলার কারণ প্রসঙ্গে।
জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের এইচএসসি ২০২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী অভিজিৎ হাওলাদার ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে পুরাণ ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ১৮ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থী মৃত্যু হয়। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তোলেন।
শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনার পরবর্তী সময়ে ডা. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা পুরাণ ঢাকার ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে প্রতিবাদ জানাতে আসলে সরকারি কবি নজরুল কলেজ ও সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। ঐ ঘটনার রেশে শিক্ষার্থীরা আজ সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
জানা গেছে, ভুল চিকিৎসার শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রোববার (২৪ নভেম্বর) ১টা থেকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের মেইন গেট ভাঙচুর করেন এবং হাসপাতালের নাম ফলক খুলে ফেলেন।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সরকারি শহিদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ভিতরে প্রবেশ করে ক্লাসরুম, অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল এবং কলেজের ভিতরে থাকা কয়েকটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করেন।
Leave a Reply