বিদেশ যেতে চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য পদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি করেন তারা। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে আজই এর শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন মতিউরসহ তার প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুর উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকি ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন। সেটা চ্যালেঞ্জ করে সোমবার হাইকোর্টে আসেন মতিউর ও তার স্ত্রী।
জানা গেছে, দুদকের উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেন বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। ঐ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।
দুদক আবেদনে উল্লেখ করে, মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা দুদক অনুসন্ধান করছে। এরই মধ্যে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী, সন্তান ও স্বজনদের নামে দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাদের নামে রাজধানীতে ১৫টি ফ্ল্যাট ও ৪টি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে।
এছাড়া ময়মনসিংহের ভালুকা, নরসিংদীর বিভিন্ন জায়গায় এবং চাঁদপুরে শত শত বিঘা জমির সন্ধান পাওয়া গেছে। বিদেশেও বিপুল পরিমাণ টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। গোপন সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা অর্থ পাচার ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এ জন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১২ লাখ টাকা দিয়ে একটি ছাগল কিনতে ১ লাখ টাকা বুকিং দেওয়া, ৭০ লাখ টাকার গরু কেনা ও বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহারের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে, আলোচনায় আসেন এনবিআরের এই সদস্য। তবে ইফাত তার ছেলের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।
পরে স্বজনদের বরাতে জানা যায়, ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তার শিভলীর দ্বিতীয় সন্তান।
Leave a Reply