আবুধাবি টি-১০ লিগে ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন দিনদিন বেড়েই চলছে। এবার গুঞ্জন উঠেছে সাকিব আল হাসানের দল বাংলা টাইগার্সের ম্যাচে দাসুন শানাকার বোলিং নিয়ে।
ম্যাচে দিল্লি বুলসের বিপক্ষে ইনিংসের নবম ওভারে ৩ বলে ৩০ রান খরচ করেছেন শ্রীলংকান এই পেসার। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অনেকেই তার এমন বোলিংয়ের পর ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছেন।
দিল্লি বুলসের বিপক্ষে ইনিংসের নবম ওভারে বোলিংয়ে আসেন শানাকা। প্রথম বলে নিখিল চৌধুরী মারেন চার। পরের দুটি শানাকা করেন নো বল। সেই দুই বলেই চার মারেন নিখিল। পরের বলে অর্থাৎ ওভারের দ্বিতীয় বৈধ ডেলিভারিতেও চার মারেন ভারতের ব্যাটসম্যান। ওভারের তৃতীয় বলে ভারতের এই ব্যাটসম্যান মারেন ছক্কা। পরের দুটি বলও নো করেন শানাকা, যার শেষ বলটিতে হয়েছে চার। অর্থাৎ ৩ বলে তার খরচ ৩০ রান।
পরে শানাকা শেষ তিন বলে আর ৩ রান খরচ করে মোট ৩৩ রান দেন ১ ওভারে। যা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তার অমন বোলিংয়ের পর সাকিবের দল বাংলা টাইগার্সের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১২৪ রানের।
জবাব দিতে নেমে ইনিংসের ২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় পায় বাংলা টাইগার্স। হজরতউল্লাহ জাজাই করেন ২৪ রান। ব্যাট হাতে শানাকা করেন ১৪ বলে ৩৩ রান। আর লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ১৫ বলে ৫০ রান। লিভিংস্টোনের অমন ইনিংসেই ২ বল আগে ম্যাচে জয় পায় বাংলা টাইগার্স।
তিন ম্যাচ পর টুর্নামেন্টে এটি সাকিব আল হাসানের দলের প্রথম জয়। তবে জয় পেলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। শানাকার বোলিংয়ে অনেকেই ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছেন। এক সমর্থক আইসিসিকে ট্যাগ করে লিখছেন, ‘টি-টেন লিগ কি কোনো কৌতুক নাকি ফিক্সিংয়ের জন্য সুযোগ দেওয়ার মঞ্চ।’
টি-টেন লিগে অবশ্য এমন ফিক্সিংয়ের গুঞ্জন এবারই প্রথম নয়। দু’দিন আগে এক নো বল নিয়েও বিতর্ক হয়েছে বেশ। মোহাম্মদ বিলাল প্রায় এক ফিট লম্বা নো বল করেন। যা অস্বাভাবিক। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
Leave a Reply