খুলনায় নগর থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের পাইকারি ও খুচরা দোকানগুলোতে মিলছে না চাহিদা অনুযায়ী বোতলজাত সয়াবিন তেল। চলতি মাসুজুড়ে তেল না পাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দোকানিসহ সাধারণ মানুষ। এমন সংকটের জন্য দোকানি ও ব্যবসায়ীরা বোতলজাত সয়াবিন তেলের ডিলার এবং কোম্পানিকে দুষছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কোম্পানির চাল-ডাল, সুজি, হলুদ, মসলাসহ অন্যান্য পণ্য না নিলে বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে পারছেন না দোকানিরা। আবার তেল কিনতে হচ্ছে বোতলে লেখা মূল্যে। এমন বেঁধে দেয়া শর্তের কারণে তেল রাখছেন না দোকানিরা। ফলে সৃষ্টি হয়েছে কৃত্রিম সংকট।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শহর ও কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখা যায়, শুধু নগরে নয়, উপজেলা পর্যায়ের দোকানগুলোতেও একই চিত্র। বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের মূল্য ১৬৭ টাকা হলেও, দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। আর খোলা তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৮২ থেকে ১৮৫ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি পর্যায়েই কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। এছাড়া, চাল, ডাল, সুজি, হলুদ, মসলার মতো অন্য পণ্য না কিনলে বোতলজাত সয়াবিনও ডিলাররা দিচ্ছেন না।
অপরদিকে দাম বেশি নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ডিলার ও কোম্পানী প্রতিনিধিরা বলছেন, কোম্পানির নীতি অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করছেন তারা। খোলা তেলের দাম বেশি হওয়ায় কোনো কোনো খুচরা বিক্রেতা বেশি লাভের আশায় বোতলের তেল ড্রামে ঢেলে বিক্রি করছেন।
এদিকে শিগগিরই বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দীপংকর দাশ।
Leave a Reply