বয়স ৩০ হলেই যে খাবারগুলো খেতে বারণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা!

সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের বিকল্প নেই। তবে বছর যদি ত্রিশ ছাড়িয়ে যায় তাহলে স্বাস্থ্য নিয়ে একটু বেশি ভাবতে হবে। কারণ তখন শরীর অনেক খাবার সহজে গ্রহণ করতে পারে না। এই বয়সে কিছু কিছু খাবার এড়িয়ে না গেলে শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। আর ত্রিশ পেড়িয়েও তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে খাদ্যতালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিতে হবে। মার্কিন স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েব সাইট হেলথলাইনের প্রতিবেদনে বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি খাবার এড়িয়ে যেতে বলেছেন।

রেডমিট

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রেডমিট বা লাল মাংস (যেমন গরু বা খাসির মাংস) এড়িয়ে যেতে বলেন। আর বয়স যখন ত্রিশ হলেই খাদ্যতালিকা থেকে চর্বি বা ফ্যাট কমাতে হবে। যাদের বিরিয়ানি, তেহারি, স্টেক কিংবা কাবাব পছন্দ তাদের একটু ভাবতে হবে।

চিনিযুক্ত খাবার

অনেক তারকারাই তাদের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য চিনি খান না। শরীরের ক্ষতির অন্যতম একটি কারণ চিনি। অতিরিক্ত চিনি বিভিন্ন রোগের কারণ। বয়স ৩০ হলেই চিনি এবং চিনিযুক্ত খাবারে লাগাম টানুন। খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে তারুণ্য এবং সুস্থতা দুটোই একসঙ্গে ধরা দেবে।

লবণসমৃদ্ধ খাবার

অনেকেই পাতে বাড়তি লবণ খান যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত লবণ স্বাস্থ্যের জন্য কোনো বয়সেই ভালো না। আর যখন ত্রিশ বসন্ত পার করলেই লবণ ত্যাগ করুন। অনেকেই লবণ দিয়ে সালাদ মাখেন আবার ফলমূলও খেতেও বাড়তি লবণ নেন এই অভ্যাস বদলে ফেলুন এবারে। এছাড়াও চিপস ও নানা রকম প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়তি লবণ থাকে। অন্যদিকে ইনস্ট্যান্ট নুডলস, সস, সয়া সস, চানাচুর, পনির ও শুঁটকিতে অনেক লবণ থাকে। তাই এই খাবারগুলো খুব কম খেতে হবে।

কোমল পানীয় ও জুস

চিনি কিংবা চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিয়েও যদি নিয়মিত কোমল পানীয় এবং বাইরের জুস খান তাহলে নিজের ক্ষতি ডেকে আছেন। কারণ কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। একই সঙ্গে জুসেও চিনির মাত্রা খুব বেশি। ফলের রস, স্মুদি যেটিই খেতে চান, বাড়িতে তৈরি করে খান।

ফাস্ট ফুড

অনেকের প্রিয় খাবারের মধ্যে আছে ফাস্ট ফুড। স্বাদ ভালো লাগলেও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। খুব বেশি হলে মাসে এক থেকে দুইবার ফাস্ট ফুডের স্বাদ নিতে পারেন।

ভাজা পোড়া

ভাজা পোড়া খাবার খেতে কার না ভালো লাগে। তবে স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে এই খাবারগুলো বাদ দিতে হবে। কারণ, তেলে ভাজা এই খাবারগুলো নানান স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ।

মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ

মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ বা ক্রিমের মতো উপকরণ থাকলে খাবারের স্বাদ বাড়ে ঠিকই সঙ্গে বাড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিও। কেক, পেস্ট্রি, বিস্কুটে মাখন ঘি ব্যবহার করা হয়, তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *