জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা সবসময় চেষ্টা করছে আমরা যেন ব্যর্থ হই। আর আমরা ব্যর্থ হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। প্রশাসনের মধ্যে যারা জুলাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। বর্তমান প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। আজকে যারা পদ পেয়েছেন তা আমাদের আন্দোলনের জন্য। আর আপনারা যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন তাহলে আপনাদের পদে থাকার প্রয়োজন নেই। আপনাদের মধ্যে যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার আপনাদেরই করতে হবে। শকুনদের খারাপ নজর চক্রান্ত শেষ হয়নি, আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও শহীদ পরিবারের পাশে থাকব। তাদের শরীরে বিন্দু পরিমাণ আঁচ লাগতেও দেব না।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহে নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৫ শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সারজিস আরও বলেন, জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আহত এবং শহীদদের সঠিক তথ্য প্রয়োজন। আপনারা সেই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন। কারণ হচ্ছে খুনি হাসিনা সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাত্র দুই কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে জেল খাটিয়েছেন। আমরা আমাদের ফাউন্ডেশনের হিসেব সঠিক না রাখলে ২০ বছর পরেও যদি খুনি শেখ হাসিনার দোসররা ক্ষমতায় আসে তাহলে এই কারণে আমাদের জেলে যেতে হবে। তাই এটিকে একটি শক্তিশালী স্বচ্ছ ফাউন্ডেশন করতে চাই। অনুষ্ঠান শুরু করার আগে শহীদ পরিবারের সদস্যদের কাছে গিয়ে খোঁজ নেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, সিভিল সার্জেন অফিসের প্রতিনিধি মেডিকেল অফিসার তুবাউল জান্নান লিমাত, শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন প্রমুখ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঢাকার কয়েকজন সমন্বয়ক-সহ সমন্বয়ক।
Leave a Reply