ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসারদের দিয়ে ভয়টা ছিল আগে থেকেই। সকালের শুরুতে খেলতে নেমেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ইউনিটে ছোবল দিলেন শামার জোসেফ। সাবধানী শুরুর চেষ্টা করলেও নবম ওভারেই উইকেট হারাতে হয়েছে সফরকারীদের। শামার জোসেফের মিডল অ্যান্ড অফ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন শাহাদাত হোসেন দিপু। ১২ রান নিয়ে দিন শুরু করা ডানহাতি ব্যাটার ফিরেছেন ২২ রানে। পাঁচে নেমে টিকতে পারলেন না লিটন দাসও। জেইডেন সিলসের অফ স্টাম্পের বাইরের ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন তিনি।
জায়গায় দাঁড়িয়ে খানিকটা আলসে ভঙ্গিতে ড্রাইভ করায় এজ হয়ে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে থাকা কাভেম হজের কাছে। বাংলাদেশের উইকেটকিপারকে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে মাত্র ১ রানে। অ্যান্টিগায় রানের দেখা পেলেও জ্যামাইকায় প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ জাকের আলী অনিক। দ্রুতই দুই উইকেট হারানোয় সাদমানের সঙ্গে জুটি গড়ার বিকল্প ছিল না তার সামনে। তবে বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটারকে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি শামার জোসেফ। ডানহাতি পেসারের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারিতে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে উইকেটের পেছনে থাকা জশুয়া ডি সিলভাকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
জাকেরের বিদায়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টায় ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। এরপর পানি বিরতিতে যায় দল। ফেরার পর প্রথম বলেই সাদমান ইসলামের উইকেট হারাল বাংলাদেশ। শামার জোসেফের বলে কট বিহাইন্ড হন আগের দিন দুবার ক্যাচ দেয়া এই ওপেনার। এ দিন অবশ্য ঠিকমতই খেলছিলেন সাদমান। কিন্তু শামারের অফ স্টাম্পের বাইরে আউটসুইং হওয়া ডেলিভারিটি তার ব্যাটের কানায় লেগে জশুয়া দা সিলভার গ্লাভসে চলে যায়। ১৩৭ বলে পাঁচটি চার ও একটি ছক্কায় সাদমান করেন ৬৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ৯৮/৬ (৪৫ ওভার) (জয় ৩, সাদমান ৬৪, মুমিনুল ০, দিপু ২২; রোচ ২/২০)
Leave a Reply