সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পটভূমিতে এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এ তথ্য ঢাবি প্রশাসনের কাছে পৌঁছালে ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সঙ্গে জরুরি ভার্চুয়াল সভা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শনিবার রাতে ভার্চুয়ালি এ মিটিং হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ। ছাত্রসংগঠনের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের ঢাবি সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন, শিবিরের ঢাবি সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর ঢাবি সভাপতি নুজিয়া হাসিন রাশা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সভাপতি মেঘমল্লার বসু। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারও সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ছাত্রসংগঠনের নেতাদের যেকোনো পরিস্থিতিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
সভায় ছাত্রনেতারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো প্রোপাগান্ডা চিহ্নিত করে ফ্যাক্ট চেক করা, প্রোপাগান্ডা রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা। এ ছাড়া ওয়ার্ল্ড রিলিজন অ্যান্ড কালচার বিভাগ থেকে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সপ্তাহ’ ঘোষণা, আন্তঃধর্মীয় সম্পর্ক জোরদার করা ও মসজিদগুলোর ইমামদের খুতবায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে কথা বলার বিষয়ে প্রস্তাব ওঠে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে হল পরির্দশন করেছি এবংছাত্র সংগঠনের সাথে সভা করেছি। সভায় ক্যাম্পাসকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। সবাই ভালো পরামর্শ দিয়েছে। আমরা সেভাবেই কাজ করবো।
Leave a Reply