জ্বালানি তেলের বড় দরপতন!

তেলের দাম গত সপ্তাহে ৩ শতাংশ কমেছে, কারণ ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ সংঘাতের কারণে সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ কমে গেছে এবং ২০২৫ সালে তেলের সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) তেলের দাম ৩ শতাংশ কমে গেলেও, পুরো সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস ৩৪ সেন্ট বা ০.৪৬ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেলে ৭২.৯৪ ডলারে এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচার ৭২ সেন্ট বা ১.০৫ শতাংশ কমে ৬৮ ডলারে বন্ধ হয়েছে, যা বুধবারের শেষ দাম থেকে কম। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি ছুটির কারণে সপ্তাহের শেষ দিকে ট্রেডিং কার্যক্রম ছিল কম। এর ফলে, ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস প্রায় ৩ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআই প্রায় ৪.৫৫ শতাংশ কমে গেছে। শুক্রবার লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি লেবাননের একটি সীমান্ত গ্রামে প্রবেশ করেছে, তবে উভয় পক্ষের মধ্যে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। তবে, বুধবার থেকে কার্যকর হওয়া অস্ত্রবিরতি তেলের ঝুঁকির প্রিমিয়াম কমিয়ে দিয়েছে, যা তেলের দাম কমানোর একটি কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত সরবরাহে কোনো প্রভাব ফেলেনি এবং ২০২৫ সালে তেলের সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) আশা করছে, ২০২৫ সালে দৈনিক ১ মিলিয়ন ব্যারেল (বিপিডি) অতিরিক্ত তেলের সরবরাহ হবে, যা বিশ্বব্যাপী উৎপাদনের ১ শতাংশেরও বেশি।

পিভিএমের তেল ব্রোকার তামাস ভার্গা বলেছেন, হালনাগাদ পর্যালোচনাটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আগামী বছর বর্তমানে চলমান বছরের তুলনায় তেলের সরবরাহ বেশি হবে, ফলে তেলের দাম ২০২৪ সালের স্তরের নিচে থাকতে পারে।

এদিকে, ওপিইসি+ গ্রুপ, যা তেল রপ্তানিকারক দেশসমূহ ওপিইসি এবং রাশিয়ার মিত্রদের সমন্বয়ে গঠিত, তাদের পরবর্তী নীতি সভাটি ১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করেছে। এই সভায় উৎপাদনে কাটছাঁট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে, যা ভবিষ্যতে তেলের দামকে প্রভাবিত করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *