বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও আবেদন ফি অর্ধেক কমানোর বিষয়কে স্বাগত জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত লেখেন, বিসিএস ভাইভাতে ২০০ নাম্বারের বদলে ১০০ নাম্বার; আবেদন ফি ৭০০ টাকার বদলে করা হচ্ছে ৩৫০ টাকা। শিক্ষার্থীবান্ধব এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।
এর আগে, বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ও আবেদন ফি অর্ধেক অর্থাৎ ৩৫০ করার প্রস্তাব করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সোমবার (০২ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, বিসিএস ফি নিয়ে নানা সময়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এবারের আবেদন ফি ৭০০ টাকা দেখে সমালোচনা করছেন অনেক চাকরিপ্রার্থী। অনেকেই এত ফি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেক্ষেত্রে সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩৫০ টাকা ও প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
আবেদন ফি কমানোর পাশাপাশি বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর কমানোর প্রস্তাবও করেছে পিএসসি। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, ২০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়। নম্বর কমিয়ে ১০০ করার প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে এটি চূড়ান্ত করা হবে। ৪৪তম বিসিএস থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিএসসির পরীক্ষা শাখার এক কর্মকর্তা জানান, নতুন কমিশন এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক দিক বিবেচনায় মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পিএসসির প্রস্তাব অনুমোদন দিলে এটি বিজ্ঞপ্তি আকারে জারি করা হবে। ৪৪তম বিসিএসে পুনরায় যে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেখানে এটি কার্যকর করা হতে পারে।
তিনি আরও জানান, এর আগে বলা হয়, একজন প্রার্থী ৩ বার, পরে বলা হয় ৪ বার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। এটা সাংবিধানিক লঙ্ঘন। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছি স্নাতক শেষ করে একজন প্রার্থী ৩২ বছর পর্যন্ত যতবার অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন ততবারই বিসিএসে অংশ নেবেন। মন্ত্রণালয় থেকে এসব বিষয়ে অনুমোদন আসলে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, প্রেষণ ও পদোন্নতি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, পিএসসির প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আলোচনা করে তাতে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
Leave a Reply