বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, তরুণ প্রজন্ম ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যে স্পিরিট নিয়ে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে সেই স্পিরিট যেন থাকে, সামনে আবারও এমন সংকট তৈরি হলে তারা যেন ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে পারে, একসঙ্গে লড়াই করতে পারে সেজন্য আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাজ করছি।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, কোয়ালিটিফুল প্রজন্ম গড়ে তোলার জন্য কোয়ালিটিফুল টিচার লাগবে। যদি তা থাকে তাহলে আলহামদুলিল্লাহ, না থাকলে নিয়ে আসতে হবে। আমরা বিভিন্ন এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ শিক্ষকদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। স্কুল-কলেজের অসংখ্য সমস্যা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেগুলো জানা এবং সম্ভব হলে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা, সমস্যাগুলো দেশের সামনে তুলে ধরা দরকার। আমরা মনে করি, এগুলো আমাদের দায়িত্ব। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া, সিস্টেম সংস্কার করার জন্য এসব বিষয় আসা জরুরি। সেই জায়গা থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় এভাবে যাব এবং আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকে কাজগুলো করবো।
তিনি বলেন, আপনারা ওই নাগরিক যারা নির্ধারণ করবেন যে আগামীর বাংলাদেশ কি হবে। আপনারা ওই নাগরিক যারা নির্ধারণ করবেন যে আগামীর বাংলাদেশে কে এমপি হবে, কে মন্ত্রী হবে, প্রধানমন্ত্রী কে হবে। আপনাদের কিন্তু বিশাল বড় ক্ষমতা। এতদিন আমরা এই ক্ষমতা বুঝিনি, কারণ ভোটই তো দিতে পারিনি। ক্ষমতা বুঝব কোথা থেকে। কিন্তু যদি একটি ফেয়ার ইলেকশন থাকে, তাহলে আপনার যে প্রতিনিধি হবে বা আপনারাই যদি কেউ হন তাহলে তিনি অনুভব করতে পারবেন যে আপনার মূল্য কতটুকু।
মতবিনিময়কালে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আনিছুর রহমান প্রধান, পঞ্চগড়ের সাবেক সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেড রিনা পারভীন, কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের তোফায়েল প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, মোকাদ্দেসুর রহমান সানসহ শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply