ভারতীয় রুপি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৩ পয়সা পতন ঘটিয়ে সর্বকালের সর্বনিম্ন ৮৪.৭৩-এ নেমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রাথমিকভাবে এ দরপতন ঘটে, যা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ডলার শক্তিশালী হওয়ার কারণে।
ফরেক্স ট্রেডারদের মতে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিকস বিষয়ক বক্তব্যের পর এশিয়ান মুদ্রাগুলোর দুর্বলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডলারের শক্তি আরো বাড়ানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্প শনিবার ব্রিকস অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর জন্য ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যদি তারা মার্কিন ডলারকে দুর্বল করে বা এর বিপরীতে কোনো মুদ্রাকে সমর্থন করে। এ পরিস্থিতি মার্কিন ডলারের শক্তি বাড়ানোর দিকে পরিচালিত করেছে।
ইন্টারব্যাংক ফোরেক্স এক্সচেঞ্জে রুপি ৮৪.৫৯ থেকে শুরু হয়ে টানা পতনের মধ্য দিয়ে ৮৪.৭৩-এ পৌঁছায়। সেশন শেষে প্রতি ডলার বিক্রি হয়েছে ৮৪.৭৩ রুপিতে। যা আগের দিনের তুলনায় ১৩ পয়সা কম। গত শুক্রবারও রুপি ১৩ পয়সা কমে ৮৪.৬০-এ নেমে নতুন সর্বকালের নিম্ন স্তরে পৌঁছেছিল।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ভারতের উৎপাদন খাতের প্রবৃদ্ধি নভেম্বরে ৫.৬৫%-এ নেমে যাওয়ার কারণেই রুপির অবমূল্যায়ন হয়েছে। এটি গত ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি এবং এই পতন প্রতিযোগিতামূলক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে হয়েছে। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব নেতিবাচক হয়েছে।
মিরায় অ্যাসেট শেয়ারখানের রিসার্চ অ্যানালিস্ট অঞ্জু চৌধুরী বলেছেন, আমরা আশা করছি যে, ডলার ও বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে রুপি নেতিবাচকভাবে ট্রেড করবে। তেল মূল্য বৃদ্ধির ফলে রুপি আরো চাপের মধ্যে পড়তে পারে।
Leave a Reply