স্ত্রী না থাকায় সাকলায়েনের ফাঁকা বাসায় যান পরীমনি, ছিলেন ১৭ ঘণ্টা!

মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার ও বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. গোলাম সাকলায়েনের সরকারি বাসায়ও যাতায়াত ছিল চিত্রনায়িতা পরীমনির। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পিএসসিতে পাঠানো এক চিঠিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে। পরীমনির বাসায়ও যাতায়াত ছিল সাকলায়েনের।

পিএসসিকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে, নায়িকা পরীমনির সঙ্গে সাকলায়েনের বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক সম্পর্ক ছিল।

সাকলায়েন পরীমনির বাসায় গিয়ে থাকতেন। সাকলায়েনের স্ত্রী তাঁর (সাকলায়েন) সরকারি বাসায় না থাকার সময় পরীমনি গিয়ে রাত্রিযাপন করেছেন।

এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ১ আগস্ট সাকলায়েনের বাসায় স্ত্রী না থাকায় তার সরকারি বাসায় যান পরীমনি। সেখানে রাত্রিযাপন করেন।

১৭ ঘণ্টা পর ২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে ওই বাসা ত্যাগ করেন পরীমনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, তাদের কথোপকথন কোনো সাধারণ পরিচিত সম্পর্ক বা পেশাগত সম্পর্ক নয় বরং অনৈতিক সম্পর্ক।

গোলাম সাকলায়েনের কর্মকাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে দাবি করে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত চেয়েছে তারা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ১৩ জুন পিএসসিকে চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী ‘অসদাচরণের’ কারণে সাকলায়েনকে ‘গুরুদণ্ড’ হিসেবে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, সাকলায়েন ডিবির গুলশান বিভাগে থাকার সময় নায়িকা পরীমনির সঙ্গে ঘটনাক্রমে তাঁর দেখা হয় এবং যোগাযোগ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি নায়িকা পরীমনির বাসায় নিয়মিত রাত্রিযাপন করতে শুরু করেন।

২০২১ সালের ১৩ জুন উত্তরা বোট ক্লাবে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরীমনি।

পরদিন উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। এরপর পরীমনির সঙ্গে এডিসি গোলাম মোহাম্মদ সাকলায়েনের সম্পর্কের উপলক্ষ এ মামলার তদন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *