আগামী শনিবার (৭ ডিসেম্বর) পৃথিবী, সূর্য ও বৃহস্পতি একই সরলরেখায় অবস্থান করবে। এদিন বৃহস্পতি পুরো রাতজুড়ে আকাশে দৃশ্যমান থাকবে। এই অবস্থানকে ‘জুপিটারের বিপরীতমুখী (জুপিটারস অপজিশন)’ বলা হয়। বিজ্ঞানীরা এটিকে এক বিরল মহাজাগতিক ঘটনা আখ্যা দিয়ে জানান, আকাশপ্রেমীদের জন্য এক দুর্লভ সুযোগ এনে দিয়েছে জুপিটারস অপজিশন।
ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিকে দেখার জন্য এই সময়ের আগে-পরে এক মাস ধরে এই বিস্ময়কর ঘটনা পর্যবেক্ষণের সুযোগ থাকবে। এমনকি একটি ছোট টেলিস্কোপ বা সাধারণ দূরবীন দিয়েও এই গ্রহের সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব। এমন বিরল মহাজাগতিক ঘটনা কেবল সৌরজগতের রহস্য ও সৌন্দর্যের প্রতি কৌতূহল বাড়ায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৫টায় বৃহস্পতি পৃথিবী থেকে প্রায় ৬১১ মিলিয়ন কিলোমিটার বা ৩৮০ মিলিয়ন মাইল দূরে থাকবে। এই দূরত্বে বৃহস্পতি অত্যন্ত উজ্জ্বল দেখাবে। এটা টেলিস্কোপ ব্যবহারকারীদের জন্য এর মেঘবাহু এবং গ্যালিলিয়ান চাঁদগুলো (আইও, ইউরোপা, গ্যানিমিড, এবং ক্যালিস্টো) পর্যবেক্ষণের সেরা সুযোগ।
তবে শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পূর্ব-উত্তর-পূর্ব আকাশে বৃষ রাশির (টরাস) নিকটে বৃহস্পতি উঠতে দেখা যাবে। এটি সূর্যাস্তের পর ওঠা শুরু করবে এবং সূর্যোদয়ের আগে অস্ত যাবে। টেলিস্কোপ বা উচ্চ ক্ষমতার দূরবীন দিয়ে বৃহস্পতির মেঘবাহুগুলো এবং এর চারটি প্রধান চাঁদ সহজেই দেখতে পারবেন আকাশপ্রেমীরা।
এই বিরল ঘটনায় বৃহস্পতির প্রতিফলিত সূর্যালোক পৃথিবীতে পৌঁছাতে প্রায় ৩৪ মিনিট সময় নেবে। পৃথিবীর দ্রুতগতির কক্ষপথের কারণে বৃহস্পতি এবং সূর্যের মধ্যে পৃথিবীর অবস্থান তৈরি হবে, যা বৃহস্পতিকে সম্পূর্ণ গোলাকার অবস্থায় দেখা যাবে।
বিরল মহাজাগতিক এই ঘটনা কেবল সৌরজগতের রহস্য ও সৌন্দর্যের প্রতি কৌতূহল বাড়ায় না, জীবদ্দশায় এমন সময়ের সাক্ষী হয়ে থাকাটাও ভাগ্যের ব্যাপারও বটে।
Leave a Reply