ঝিনাইদহে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজি কেজিতে কমেছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতাদের মাঝে। দাম কমলেও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক। তবে সরবরাহ বাড়লে দাম আরো কমবে বলে আশ্বাস ব্যবসায়ীদের।
ঝিনাইদহের নতুন হাটখোলা বাজারে ভোর থেকেই টাটকা-তরতাজা নানা ধরনের সবজির পসরা বসে। থরে থরে সাজানো থাকে শীতকালীন সবজি। মিলছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম ও নতুন আলুসহ নানা ধরনের সবজি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমতে থাকে কেনা-বেচা। ক্রেতা-বিক্রেতার হাক-ডাক চলে দুপুর পর্যন্ত। জেলা সদরসহ আশপাশের উপজেলা থেকে সবজি আসে এ বাজারে। বাজারে সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কমেছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে দাম কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে পাইকারী পর্যায়ে প্রতিকেজি বেগুন প্রকার ভেদে ৪০ থেকে ৪৫, পটল ২০ থেকে ২৫, শিম ৩০ থেকে ৩৫, টমেটো ৮০ থেকে ৯০, ফুলকপি ২০ থেকে ২৫, উচ্চে ৪০ থেকে ৪৫, মূলা ১০ থেকে ১৫, লাউ ৪০ থেকে ৪৫, আলু ৭৫, পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ও কৃষকরা জানান, সবজির দাম কমলেও ফলন ভালো হওয়ায় খুশি তারা। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে। ফলে সব ধরনের সবজি কমেছে কেজি প্রতি ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত।
ক্রেতারা জানান, কিছু দিন আগে বাজারে সবজি কেনার মত পরিস্থিতি ছিল না। এখন সবজির দাম অনেক কমায় স্বস্তি এসেছে।
ঝিনাইদহ নতুন হাটখোলা ব্যবসায় সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। শীতের মাত্রা বাড়লে ও বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লে আরো কমতে পারে দাম।
ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে প্রতিদিন এই বাজারে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার সবজি কেনা-বেচা হয়। যা সরবরাহ করা হয় জেলা শহরসহ আশপাশের উপজেলাতেও।
Leave a Reply