দেশের গোটা প্রশাসন ও সরকারি কর্মকান্ডের নিয়ন্ত্রণ করা সচিবালয়ের প্রাণকেন্দ্র আগুনে পুড়েছে ছয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে। মধ্য রাতে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে সকালে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, আগুন নেভাতে এতো সময় কেন লাগলো?
নৌবাহিনীর সিনিয়র চিফ পেটি অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম মনে করছেন,সচিবালয়ে লাগা আগুন শর্টসার্কিটে নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে কেউ হয়তো আগুন লাগিয়েছে।
নেটিজেনরাসহ জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, সচিবালয়ের মত একটা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে আগুনের ঘটনা কিভাবে। আর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ছয় ঘন্টা সময় লাগে? কেউ আবার আগুরের পিছনে ষড়যন্ত্র দেখছেন। বলেছেন এই দেশ নিয়ে এত ষড়যন্ত্র কেন?
কেউ বলছেন, এত সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আগুন নেভাতে কেন এত সময় লাগলো। এই আগুন পরিকল্পিত কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কেউ কেউ। এই আগুন পরিকল্পিত হলে তার সুষ্ঠু তদন্ত করার আহ্বান তাদের।
আগুন নেভাতে এতগুলো ইউনিটের এত সময় কেন লেগেছে, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালককেও একই প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। এই প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল জানান, জায়গাটা আবদ্ধ। সব কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো থাকায় গ্লাস বা দরজা ভেঙে পানি দিতে হয়েছে। এতে সময় লেগেছে।
অনেকে আবর বিষয়টিকে দেখতে চাইছেন, সচিবালয়ে আগুন লাগার পিছনে বিদেশী কোন শক্তির হাত থাকতে পারে।ইতোমধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ভারতের সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে দু,দেশের মধ্যে চলছে উত্তাপ।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ মানুষ ভারতের ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াসহ নানা ইস্যুতে হয়েছেন সরব।ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে ভারতের কাছে ফেরত চেয়েছে।যদিও ভারত এই ইস্যুতে এখনো নিরব।
অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন হাসিনার গোপন নথি গায়েব করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সচিবালয়ে আগুন দিয়ে থাকতে পারে বিদেশী কোন এজেন্ট।তারা এটাকে বিদেশী এজেন্টদের কাজ বলে মনে করতে চাইছেন।তাছাড়া আগুন নেভাতে যাওয়া এক ফায়ার ফাইটারকে ট্রাক চালক চাপা দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করে।এসব গুলোকেই মানুষ পূর্ব পরিকল্পনার অংশ বলে মনে করছে।
ইতোমধ্যে সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্র সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন দেশের আপামর জনসাধারণ।
Leave a Reply