টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে চরম ব্যস্তত সময় পার করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেই টাইগাররা উড়াল দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে দেশটির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল।
এবারের বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির উদ্দেশে গত ১৫ মে রাতে উড়াল দেয় টাইগাররা। দেশ ছাড়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) রেকর্ড করা ভিডিওতে নিজেদের চাওয়া-পাওয়া ইচ্ছে, প্রত্যাশার কথা বলে গেছেন ক্রিকেটাররা। সেই ধারাবাহিক পর্বে আজ ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।
চলমান আইপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আবারও সবার নজর কেড়েছেন মুস্তাফিজ। বাংলাদেশের এই কাটার মাস্টার ক্রিকেট বিশ্বে ‘দ্যা ফিজ’ নামে পরিচিত। মূলত ২০১৬ সালে মুস্তাফিজ যখন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথমবার খেলতে যান তখনই ‘ফিজ’ নামটা পরিচিতি পায় বেশি। অনেকেই মনে করেন, এটা গণমাধ্যমের দেয়া। কিন্তু মুস্তাফিজ জানালেন অন্য কথা।
মুস্তাফিজ ওই ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমাদের যে বোর্ডটা আছে ফিল্ডিং সেশন বা বোলিং সেশনে সবার নাম থাকে যেখানে, সেখানে আমার নাম পুরোটা লিখলে অনেক বড় হয়ে যায়। এজন্য দেখি ফিজ দিয়ে (লেখা), প্রথমদিন আমি বুঝিনি যে এটা কে। পরে বলছে এটা তুমি। তারপর আমি আইপিএলে খেলতে গেছিলাম ২০১-তে, ওখানেও ফিজটা পপুলার হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে চলতেছে।’
মুস্তাফিজের আক্ষেপ, বড় খেলোয়াড় না হতে পারা। তার মতে, বড় ট্রফি জিতলেই বড় প্লেয়ার হওয়া যায়। মুস্তাফিজ বলেন, ‘যখন কেউ বড় ট্রফি বা টুর্নামেন্টে জেতে, তাকে বড় খেলোয়াড় বলা হয়। সেই আক্ষেপ তো সব সময়ই রয়ে গেছে। ভালো করার শেষ নেই, চেষ্টা করব পেছনে (অতীতে) যা করেছি, তার চেয়েও যেন আরও ভালো করতে পারি।’
তিন সংস্করণের ক্রিকেটে খেললেও মুস্তাফিজের প্রথম পছন্দ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। তার মতে, প্রেশারের কারণেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট উপভোগ করেন তিনি। মুস্তাফিজ বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলা তো গৌরবের বিষয়। দেশের পতাকা যেখানে থাকে, সেখানে যে কারোরই খেলতে পারা ভালো লাগবেই স্বাভাবিক। আমি সবসময় এনজয় করি দেশের হয়ে খেলাটা। আরও ভালো লাগার বিষয় হলো টি-টোয়েন্টি। কারণ এই ফরম্যাটটা বেশ প্রেশারের, এই কারণে ভালো লাগে আমার। প্রেশারটা অনেক এনজয় করি।’
Leave a Reply