হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমভাগ গ্রামে ফেসবুকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী-পুরুষসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় চারজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষের বিবরণশনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে পশ্চিমভাগ গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হয়। এর আগে, শুক্রবার বিকেলেও একই বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তৈয়ব আলীর ছেলে অলি মিয়া এবং মৃত বুছা মিয়ার ছেলে ধনু মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার বিকেলে ধনু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া ফেসবুক লাইভে এসে তৈয়ব আলীর ছেলে খলিল মিয়াকে নিয়ে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং সন্ধ্যায় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পরও উত্তেজনা থামেনি। শনিবার সকালে উভয়পক্ষ ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ছানু মিয়া (৪০), ধনু মিয়া (৫২), মুহিত মিয়া (৬০) এবং রেনু মিয়া (৪২) গুরুতর আহত হন।
পুলিশের ভূমিকাশিবপাশা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, ফেসবুকে উসকানির জেরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অবস্থা স্বাভাবিক হলেও উত্তেজনা বিদ্যমানস্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের পর গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরবর্তী সংঘাত এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
Leave a Reply