যে কারণে অনুশোচনায় ভুগছেন জো বাইডেন!

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কয়েকমাস আগে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থীর পদ থেকে সরে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করেন। তবে বর্তমানে বাইডেন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে গভীর অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। তিনি মনে করছেন, নির্বাচনে অংশ নিলে জনগণ তাকেই বেছে নিতো।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমলা হ্যারিসকে সরাসরি দোষারোপ করেননি বাইডেন প্রশাসন। তবে ডেমোক্র্যাটদের ধারণা, নির্বাচনে কমলার পরিবর্তে বাইডেন অংশ নিলে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সহজেই হারিয়ে দিতেন তিনি।

জানা যায়, বাইডেন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মেরিক গারল্যান্ডকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও অনুতপ্ত। শুধু বাইডেনই নয়, অনেক ডেমোক্র্যাটদেরও ধারণা, এটি বাইডেনের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল হিলের দাঙ্গার পর মেরিক গারল্যান্ডকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেন বাইডেন। গারল্যান্ড ৬ জানুয়ারির ঘটনায় ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সঠিক সময়ে তদন্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করেন ডেমোক্র্যাটরা।

যদি তিনি সঠিক সময়ে তদন্ত করে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারতেন, তবে নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের জয়ের পথ সহজ হয়ে যেত বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষাণকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উপদেষ্টা হিসেবে বাছাই করার পর থেকেই ট্রাম্প শিবিরে তৈরি হয় মতানৈক্য। ট্রাম্পের সমর্থক লরা লুমার ও ম্যাট গাৎজের মতো ডানপন্থিরা কৃষাণের বিরোধিতা করেছেন।

অপরদিকে তার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক ও বিবেক রামাস্বামী। এসবের মধ্যেই নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইলন মাস্ক পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *