বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার এইটের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাঈবের বিরুদ্ধে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির ‘অভিনয়’ করার অভিযোগ উঠেছে। ম্যাচের মধ্যে বৃষ্টি নামলে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় সময় নষ্ট করতে পায়ে ক্রাম্প হয়েছে এমন অভিনয় করে মাঠেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।
বৃষ্টি নামায় পরে আর কোন বল মাঠে গড়ায়নি। তার ওই ক্রাম্পের অভিনয়ের আগে ড্রেসিংরুম থেকে ম্যাচ স্লো করার ইঙ্গিত দেন আফগান কোচ জনাথন ট্রট। বৃষ্টির পর নাঈব মাঠে আসেন। ফিল্ডিং তো করেছেনই, বোলিংও করানো হয়েছে তাকে দিয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর সীমানার লাইনে ফিল্ডিং করা সাবেক আফগান অধিনায়ক ছুটে এসে দলের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দেন। বিষয়টিকে ফেয়ার প্লে পরিপন্থী বলা হচ্ছে।
গুলবাদিন সত্যিই প্রতারণা করলে আইসিসির নিয়মে শাস্তি দেয়ার বিধান রয়েছে। মাঠে সময় নষ্ট করার বিষয়টি দেখেন দুই আম্পায়ার। অকারণে সময় নষ্ট করছেন দেখলে ফিল্ড আম্পায়ার ওই ক্রিকেটার ও অধিনায়ককে সতর্ক করেন। এরপরও একই ঘটনা ঘটলে পাঁচ রান জরিমানা করার ক্ষমতা রয়েছে আম্পায়ারের হাতে।
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচটি শেষ হয়ে গেছে। আফগানিস্তান জয় নিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেও চলে গেছে। এখন তাহলে শাস্তির বিধান কী হবে? এখানে আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গের ধারায় গুলবাদিনকে শাস্তি দেয়ার সুযোগ আছে।
তবে এটিও নির্ভর করবে মাঠে থাকা দুই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের ওপর। যদি আম্পায়ার রিপোর্ট দেন যে- গুলবাদিন সময় নষ্ট করতে প্রতারণার সুযোগ নিয়েছেন এবং হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির অভিনয় করেছে, সেক্ষেত্রে তাকে ম্যাচ ফি’র শতভাগ জরিমানা করার সুযোগ রয়েছে।
Leave a Reply