সেদিন যা নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার!

শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী ও আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টু শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘আমার ফাঁসি চাই’ নামে একটি বই লিখেন। পরবর্তীতে সে বইটি শেখ হাসিনা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন এবং রেন্টুসহ তার পরিবার বিদেশে পালিয়ে যায়।

লেখক সেই বইয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মধ্যকার ঝগড়ার একটি অংশে তুলে ধরেন। সেই ঘটনার বিস্তারিত থাকছে আজকের প্রতিবেদনে।

তিনি লিখেছেন, ৭ জুলাই ১৯৯৬ অপরাহ্ণে তিনি বলেন, গণভবনে তার বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এসেই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিৎকার করে বললেন- এই শেখ মুজিব কি একা তোমার বাপ, শেখ মুজিব আমার বাপ না? তাহলে আমার ভাগ কই? আমি কি ভাগ পাই না? আমারো ৫ টা মন্ত্রী হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মন্ত্রী পাবি না, যত টাকা দরকার পাবি, সব তোরই। দুই বোনের চিৎকারের চোটে প্রধানমন্ত্রীর ২৪ ঘণ্টা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর ৬৪ জন অফিসার সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল, পিজিআরের ওই দিন ডিউটিরত সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চোখের ইশারায় তাঁদেরকে সরিয়ে নেয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত নিজস্ব এবং পারিবারিক ব্যাপার বলে ওভারলুক করার পরামর্শ দেয়া হয়।

শেখ রেহানা বলেন, আজ যদি আমার পাঁচজনকে মন্ত্রী না করো। তবে আমি আমেরিকা চলে যাবো যখন আসবো তখন সমান ভাগ নিয়ে আসবো মনে রেখো। এই কথা বলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা চলে গেলেন।

পরবর্তী পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকায় গিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে ভাগাভাগি এবং আপোস রফা করে তার ছোট বোন শেখ রেহানাকে দেশে নিয়ে আসেন। শেখ রেহানা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাশিয়ার, সমস্ত টাকা পয়সা শেখ রেহানার হাত দিয়ে আসতে হবে এবং শেখ হাসিনার পর শেখ রেহানাই হবেন শেখ মুজিবের উত্তরসূরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *