বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ রোববার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ঘোষণা করেছেন। তিনি বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজের একটি নতুন ভিত্তি স্থাপনের লক্ষ্যে এই দাবিগুলো উত্থাপন করেন।
দাবিসমূহ১. আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতির অবসানআওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতিকে চূড়ান্তভাবে কবর দিতে হবে এবং এর প্রত্যাবর্তন অসম্ভব করে দিতে হবে।
২. ভারতীয় আধিপত্যবাদের অবসানবাংলাদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদ দূর করে স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্মনির্ভর একটি নতুন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে।
৩. সাম্য ও ইনসাফের সমাজ গঠনদেশে একটি সাম্য ও ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাহাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেছেন, গত ৫ আগস্ট ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি, কারণ বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা ফ্যাসিস্ট শক্তির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছিল। এর ফলে গণঅভ্যুত্থানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সংবিধান মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে এই সংবিধানের ‘কবর রচনা’ করা হবে। সেদিন কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘোষণা করা হবে।
ঘোষণার প্রেক্ষাপটবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে শনিবার দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্টে বিপ্লবের প্রস্তুতির বার্তা দেওয়া হয়েছিল। প্রথম পোস্টে লেখা হয়,
“৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, বিপ্লবীরা প্রস্তুত তো?”
পরবর্তী পোস্টে ইংরেজিতে লেখা হয়,
“Proclamation of July Revolution”
গণসমাবেশের পরিকল্পনাহাসনাত আব্দুল্লাহ জানিয়েছেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে মানুষের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য ৩১ ডিসেম্বর মানুষকে শহিদ মিনারে জড়ো হতে আহ্বান জানানো হয়েছে। বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিপ্লবের ঘোষণা দেওয়া হবে।
বর্তমান সংবিধান নিয়ে বক্তব্যতিনি উল্লেখ করেছেন, ’৭২-এর সংবিধান মুজিববাদী দর্শনের ভিত্তিতে তৈরি, যা মানুষ ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই নতুন সংবিধানের মাধ্যমে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো হবে।
এই দাবিগুলো ও ঘোষণাগুলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। ৩১ ডিসেম্বর দিনটি নতুন বাংলাদেশের দিকনির্দেশনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
Leave a Reply