বোনকে নিয়ে পালালেন স্বামী, মাকে নিয়ে শ্বশুর!

কোলে ছোট্ট এক বছরের মেয়ে। স্বামী পলাতক। নিজের মায়েরও খোঁজ নেই। কোথায় যাবেন, কী করবেন বুঝতেই পারছেন না গৃহবধূ। শেষ পর্যন্ত থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ যা জানতে পারলেন, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়।

বিহারের মুজফফরপুরের সাকরা থানা এলাকার ঘটনা। মহিলার নাম সুধা কুমারী। গত ৯ জুন থানায় যান তিনি। পুলিশকে তিনি জানান, তিনি ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা। ২০২১ সালে ছোটু নামে এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ছিল সুখের সংসার। তাঁদের এক কন্যা সন্তানেরও জন্ম হয়। এরপর হঠাৎ তাঁর বোনের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে শুরু করেন তাঁর স্বামী ছোটু। তবে সেই সম্পর্ক যে এতদূর গড়িয়েছে, তা তিনি বুঝতে পারেননি।

কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই মহিলা জানতে পারেন, তাঁর বোনকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁর স্বামী ছোটু। এরপর বাপের বাড়ি ফিরে যান তিনি। তাঁর মা ফুল কুমারীকে গিয়ে সবটা জানান সুধা। তাঁর মা তাঁকে আশ্বাস দেন, তিনি নিজের সুধার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে সবটা বোঝাবেন।

এরপরই নতুন টুইস্ট! মা তাঁর শ্বশুরবাড়ি গেলেন তো গেলেন, আর ফেরার নাম নেই! অপেক্ষায় পথ চেয়ে বসে আছেন সুধা। কিন্তু মা কোথায়! এরপর খোঁজ খবর করা শুরু করেন তিনি। পরে জানতে পারেন, তাঁর মা তাঁরই শ্বশুর বিরাজি ভগতের সঙ্গে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন। কেউ ফোনও তুলছেন না। মহিলা পুলিশকে বলেন, ‘মেয়েকে নিয়ে দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছি, এখন আমি কোথায় যাব বলুন।’

এ সব শুনে তো তাজ্জব পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তদন্ত শুরু হল। তবে অবাক হওয়ার এখনও যে অনেক বাকি, তা বোধহয় বুঝতে পারেনি পুলিশ। এবার আসরে হাজির ছোটু। তিনি যা বললেন, তা শুনে তো আরও অবাক পুলিশ। তাঁর দাবি, তাঁর শাশুড়ি অর্থাৎ সুধার মা নাকি তাঁকে সুধার বোনকে বিয়ে করতে চাপ দিয়েছিলেন। বদলে গাড়ি উপহার দেবেন বলেও জানিয়েছেন। সব পক্ষের কথা শুনে তবেই ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।

সূত্র: জি নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *