জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী প্রায় ৪.৫ বছর বিদেশে নির্বাসিত ছিলেন। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর তিনি দেশে ফেরেন। গত ২ অক্টোবর তিনি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় ফিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে দেশে ফেরার খবর জানান। তবে এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কেন দেশের বাইরে ছিলেন এবং কি কারণে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
অর্থাৎ দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই প্রশ্ন এখন অনেকেরই মনে নয়।
গণ অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হওয়ার পর বিদেশে নির্বাসিত অনেকেই দেশে ফেরেন জননন্দিত নির্বাসিত সেই তালিকায় ছিলেন জনপ্রিয় ইসলামিক বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। দেশে ফিরে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ, শহীদ সালাম অতি প্রিয় মাতৃভূমিতে এসে পৌঁছালাম। পরম করুণাময় এই প্রত্যাবর্তনকে বরকতময় করুন। সকলের দোয়া নিবেদন। দীর্ঘ চার বছর তিনি মালয়েশিয়াতে অবস্থান করছিলেন। হাসিনা সরকারের আমলেই হঠাৎই তাঁকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়।
তাঁর দেশে ফেরার পর দেশভাগের কারণ নিয়ে জনমনে কৌতূহল জাগে। তবে তাঁর দেশত্যাগের পিছনে প্রকৃত কারণ সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণে তাকে দেশ ছাড়তে হয়েছিল। কেন?
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মাওলানা আজহারই একটি মাহফিলে ১২ জন ভারতীয় নাগরিকের ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। মাত্র একটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল জয়পুরহাটে, যেখানে ওই ভারতীয় নাগরিকরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুরের আরেকটি মাহফিলেও এমন ঘটনা ঘটে, যেখানে আরও ১২ জন ভারতীয় হিন্দু পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হলে স্থানীয় প্রশাসন ওই পরিবারগুলোকে আটক করে এবং তাঁদের ভারতে ফেরত পাঠায়। অনেকে মনে করেন, এই ধর্মান্তর ইস্যু এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
শেখ হাসিনার শাসনামলে তার সরকারের গুণগান না গাইলে তাকে নানা রকম ট্যাগ দেওয়া হত বলে দেখা গেছে। এমনকি ধর্মীয় স্কলার বক্তা থেকে শুরু করে ধর্ম চর্চা করি। নিরাপরাধ মানুষকে জামাতের ট্যাগ দিয়ে ঘুম করার মতো ঘটনাও ফর হামেশাই দেখা যেত। এদিকে মাওলানা আজহার তাঁর বক্তৃতায় সব সময় ছিলেন স্পষ্টভাষী। এমনকী তাঁর মাহফিল গুলোতে অসংখ্য বিধর্মী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেন। তাঁর ভক্তদের মতে, তিনি শুধু সাধারণ মানুষের নয়, দেশের বিভিন্ন ভণ্ড পীর ও মধ্যপন্থীদের বিরাগভাজন ছিলেন৷ তাঁরা মনে করেন, ভণ্ড পিরদের ষড়যন্ত্রের কারণেই মাওলানা আজহারকে ওয়াজের ময়দান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
Leave a Reply