অঞ্জনার মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন, শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন!

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী অঞ্জনা রহমানের মৃত্যুর পর তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্নের দেখা মিলেছে। বিষয়টি নিয়ে নায়িকার আত্মীয়স্বজন ও ভক্তমহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই নায়িকা। এরপর শনিবার সকালে হাসপাতালেই তার গোসল সম্পন্ন হয়।

এসময় অভিনেত্রীর শরীরের নানা জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে একটি সূত্র। গোসলের পর অঞ্জনার মরদেহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে নেওয়া হলে সেখানেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়।

অঞ্জনার মৃত্যু নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে জানা যায়, টানা ১০ দিন অচেতন অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ কোনো উন্নতি না হওয়ায় বুধবার (১ জানুয়ারি) রাতে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর অঞ্জনাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় কিংবদন্তী এই নায়িকার।

তবে অঞ্জনার ঘনিষ্ঠজনদের দাবি, অভিনেত্রীর অসুস্থতার খবর তার পালিত ছেলে মনি কাউকে শুরুতে জানায়নি। তিনি ভেবেছিলেন, অঞ্জনার সাধারণ কোনো জ্বর হয়েছে।

এ বিষয়ে অঞ্জনার শেষ বিদায়ের গোসলের সময়ে উপস্থিত সালমা হক নামের এক নিকটাত্মীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে গোসল করানোর সময় আমি দেখি তার শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন। যেগুলো দেখে আমার কাছে স্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। শুধু তাই নয় আপা আমাকে মাঝে বলেও ছিলো কে বা কারা যেনো তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন। যা নিয়ে তিনি বেশ ভয়ে ছিলেন। মাঝে আমাকে একদিন কল দিয়ে বলেন, দেখা করতে! কিন্তু সেই কথাটি শেষ পর্যন্ত আর শোনা হলো না।’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বেশ সুপরিচিত মুখ ছিলেন অঞ্জনা। নৃত্যশিল্পী থেকে নায়িকা হয়ে সর্বাধিক যৌথ প্রযোজনা এবং বিদেশি সিনেমায় অভিনয় করা একমাত্র দেশীয় চিত্রনায়িকাও তিনি।

১৯৭৬ সালে ‘দস্যু বনহুর’ দিয়ে শুরু। এরপর তিন শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। ‘পরিণীতা’ ও ‘গাঙচিল’-এ অভিনয়ের জন্য দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *