চরম দু:সংবাদ : থামছেই না মৃত্যুর মিছিল, আহত ১৩১৯০, নিহতের সংখ্যা জানলে চমকে উঠবেন!

২০২৪ সালে সড়ক, রেল এবং নৌপথে দুর্ঘটনায় ৯,২৩৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আর আহত হয়েছেন ১৩,১৯০ জন। শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

২০২৪ সালে সড়কে মোট ৬,৩৫৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৮,৫৪৩ জন। আহত হয়েছেন ১২,৬০৮ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি লক্ষ্য করা গেছে। এ ধরনের ২,৩২৯টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২,৫৭০ জন এবং আহত হয়েছেন ৩,১৫১ জন।

গত বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ১.৫৪ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া, দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৭.৫০ শতাংশ এবং আহতের সংখ্যা ১৭.৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২৪ সালে রেলপথে ৪৯৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫১২ জন নিহত এবং ৩১৫ জন আহত হয়েছেন। নৌপথে ১১৮টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৮২ জন, আহত হয়েছেন ২৬৭ জন এবং নিখোঁজ হয়েছেন ১৫৫ জন।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বেপরোয়া গতি, বিপজ্জনক ওভারটেকিংসহ মোট ২২টি কারণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সড়কে দুর্ঘটনার পেছনে নিয়ন্ত্রণহীন যানবাহন, চালকের অদক্ষতা, এবং ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা মূল ভূমিকা রাখছে।

দুর্ঘটনা কমাতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ১৩টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

চালকদের প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে কঠোরতা আনা।

যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া।

২০২৪ সালের দুর্ঘটনার এই পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পরিবহন ব্যবস্থায় নিরাপত্তার সংকটকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। দুর্ঘটনা কমাতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। সবার জন্য নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *