এইমাত্র পাওয়া : সৌদি প্রবাসীদের জন্য চরম দু:সংবাদ!

সৌদি আরবের মরুপ্রধান অঞ্চলে শীতকালীন তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ১৯৯২ সালের জানুয়ারি মাসে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হাইলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল মাইনাস ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই সময় পুরো সপ্তাহ জুড়ে তাপমাত্রা মাইনাস ৪.৪ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করেছিল।

চলতি শীত মৌসুমে আবহাওয়ার অবস্থা সেই রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। সৌদির আবহাওয়া দপ্তর ন্যাশনাল সেন্টার ফর মেটেরোলজি (এনসিএম) জানিয়েছে, ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু হওয়া তীব্র শীতল প্রবাহ উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিরাজ করছে। আগামী দিনগুলোতে তাবুক, আল জৌফ এবং উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে রাজধানী রিয়াদ, মক্কা এবং মদিনাসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

এনসিএমের এক্সে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আসির, জাজান, আল বাহা, মক্কা এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে তুষারপাত এবং ঘন কুয়াশার পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি আরও অন্তত এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

এনসিএমের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আকিল আল আকিল আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজকে বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি যদি দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে ২০২৫ সালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে হাল এবং আল কুরায়াত অঞ্চলে ঠান্ডা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। যদি রেকর্ড গড়ার মতো তাপমাত্রা দেখা যায়, তাহলে এই দুটি অঞ্চলের কোনো একটিতে বা উভয় এলাকাতেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে।”

এমন শীতল পরিস্থিতি সৌদির মরুপ্রধান দেশের জন্য ব্যতিক্রমী হলেও আবহাওয়ার এই চরম পরিবর্তন স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রস্তুত থাকার বার্তা দিচ্ছে। তুষারপাত এবং শৈত্যপ্রবাহ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে এনসিএম।

দেশটির ইতিহাসে এমন শীতল আবহাওয়া বিরল হলেও এর প্রভাব এখনই বিভিন্ন অঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, বৃষ্টি ও তুষারপাতের ফলে রাস্তার পরিস্থিতি প্রতিকূল হতে পারে। তাই গাড়ি চালকদের বিশেষ সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *