তাহসানকে বিয়ে করতেই প্রাক্তন প্রেমিককে ধোকা দিয়েছেন রোজা! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

তাহসানের বিয়ে নিয়ে একের পর এক ধোয়াশা সৃষ্টি হতে শুরু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইতোমধ্যে জানা যায় রোজার বাবা ছিলেন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী যাকে র‍্যাব গুলি করে মেরে ফেলেছে। এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে রোজা তার প্রেমিক ফাইজকে ধোকা দিয়েছেন তাহসানকে বিয়ে করার জন্য। এর আগে তাহসান তার বিয়ে নিয়েও ধোয়াশা তৈরি করেছিলেন জনমনে।একবার তিনি বলেছিলেন বিয়ে করেছেন আবার পরবর্তীতে জানান বিয়ে এখনো হয়নি। তবে ইতোমধ্যেই তাহসান তাদের বিয়ের ছবি তার নিজের ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন যা ইতোমধ্যে ভাইরাল।

খোজ নিয়ে জানা যায় রোজার প্রেমিক ছিলেন যার পুরো নাম ফাইজুদ্দিন বেলাল। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার বাবার নাম সেলিম শিকদার ও মায়ের নাম ফজিলাতুন্নেসা। তিনি বর্তমানে ঢাকার খিলখেতে বসবাস করেন। জানা যায় গত ২ বছর ধরেই রোজার সাথে তার প্রেম চলছিলো। কিন্তু হঠাত করেই রোজার বিয়ের খবর আসে জনপ্রিয় অভিনেতা তাহসানের সংগে।

রোজা ও তার প্রেমিকের সম্পর্কের শেষ পরিনতি কি হয়েছিলো তা জানতে ফাইজউদ্দিন বেলালকে কল দেয়া হলে ফোন রিসিভ করেন তার মা। ফাইজকে চাওয়া হলে তিনি জানান ফোন তার কাছে রেখে বাহিরে গিয়েছেন ফাইজ কাজে। যার ফলে ফাইজের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বলছেন রোজার সাথে ফাইজের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তারা একসাথে একই ছাদের নিচে অনেকদিন বসবাস করেছেন। তবে আমাদের বের করা তথ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পেলেও একই ছাদের নিচে বসবাস এ বিষয়ে কোনো যুক্তিযুক্ত তথ্য পাঅয়া যায়নি।

এদিকে রোজার বাবা ফারুক আহমেদ ওরফে পানামা ফারুক ছিলেন একজন শীর্ষ সন্ত্রাসী। যুবলীগের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি র‍্যাবের ক্রসফায়ারে মারা যান।

এদিকে গোপন সূত্রে জানা যায়, রোজা বরিশালের গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও কখনো গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেননি। এমনকি জানা যাচ্ছে রোজা বিদেশে গিয়েছে রাজনৈতিক আশ্রয়ে তার বাবাকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়েছে এই ভিত্তিতে।

তবে এতকিছুর পরেও অনেক নেটিজেন তাহসান ও রোজাকে শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন।তারা বলছেন একজন মেয়ের বাবার পরিচয়ে তাকে কখনো জাস্টিফাই করা উচিত নয়। এবং তার প্রাক্তন প্রেমিককে নিয়ে বলছেন একজন মানুষের অতীত থাকতেই পারে সেটি তার একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এই নবদম্পতির জন্য তারা জানাচ্ছেন অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *