১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলো সাবেক প্রেমিকের থেকে তাহসানের স্ত্রী!

একদিন আগেই খবর বেড়িয়েছে বিয়ে করেছে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসান। তার হবু স্ত্রী’র পরিচয় নিয়ে আগ্রহ ছিল সবার। সেই পারদে হাওয়া লেগে সন্ত্রাসী বাবার পরিচয় সহ সাবেক প্রেমিকও বেড়িইয়ে এসেছে এখন।

বেসরকারি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছে তাহসানের স্ত্রী রোজার সাবেক প্রেমিক, যদিও তার পরিচয় গোপন রাখতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমাদের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। সেখান থেকে এমন কিছু হবে আমি কখনো ভাবিনি। আমাকে ছ্যাঁকা দিয়ে চলে গেছে, তার বিদেশ যাওয়ার সময় আমি ১৫ লাখ টাকা দিয়েছি।

আমি ব্যথিত হইনি কিন্ত এটি ছিল অবিশ্বাস্য একটি ব্যাপার, প্রতারিত হয়েছি আমি। তিন মাস আগে আমাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়, ১ মাস আগেও সে ফোন দিয়ে সবকিছু ঠিক করতে চেয়েছিল। কিন্ত গতকাল মিডিয়ায় জানলাম এতকিছু হয়ে গেছে। আমাদের ব্রেকাপের কারণও তাহসান ছিলো।

তিনি আরো বলেন, ২০১৬ থেকে আমাদের সম্পর্ক ছিল। আমি গতকাল পর্যন্তুও কিছু জানতাম না। ৩ মাস হয়েছে আমাদের ব্রেকাপ হয়েছে কিন্ত বিভিন্ন নিউজে থেকে জানলাম তাদের ১ বছর ধরে সম্পর্ক আছে। সম্পর্ক কতটা গভীর ছিলো সে সম্পর্কে বলেন , ৯ বছরের সম্পর্ক থাকলে যতটা গভীরতা থাকে ততটা ছিলো। আমাদের চাইল্ডহুড সম্পর্ক ছিলো। তার ক্যারিয়ারেও আমার অবদান আছে, আমেরিকা গেছে সেখানেও আমার অবদান আছে।

উম্মে হাবিবা রোজা থেকে রোজা আহমেদ পরিচয়ে আছে সে এখন, যেখানে আমার অবদান আছে। তাহসানের স্ত্রী’র সাবেক প্রেমিক বিবাহিত কিনা জানতে চাইলে বলেন, আমাকে তো ছ্যাঁকা দিয়ে চলে গেছে। আপনারা নিশ্চই তার বাবা সম্পর্কেও জানেন, তার বাবা কিন্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিল। আওয়ামী লীগ আমলেই তাকে ক্রসফায়ার দেয়া হয়। সে বাবার ধুরন্দর মেয়ে রোজা।

রোজার সাবেক প্রেমিক অনুরোধ করেন, এখন প্রচার করা হচ্ছে সে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটিকোলজি থেকে এর উপর ডিগ্রি অর্জন করেছে। কিন্ত নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে এই সাবজেক্টই নাই, আপনারা চাইলে অনুসন্ধান করতে পারেন। সে এইচএসসি পাশ করে ওখানে গেছে, এটা দিয়ে ওখানে ভর্তি হওয়া সম্ভব না। এই মিথ্যাচার তারা করে যাচ্ছে। ৯ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল, তার সবকিছুই আমার জানা আছে। আমি যে টাকা দিয়েছি তা ফেরত পাব নাকি জানি না। মিডিয়ার উচিৎ সত্য সামনে তুলে আনা। আমার আগেও তার একজন প্রেমিক ছিল।

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *