সময়টা ২০১৯ সাল।সেই বছরের শেষদিকে চীনে ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়ে নতুন এক ভাইরাসের যার নাম কোভিড-১৯ বা করোনা। একপর্যায়ে সেটি মহামারির রূপ নেয় সারাবিশ্বে। লকডাউনে চলে যায় পুরো বিশ্ব।পুরো বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও চলে যায় লকডাউনে।থমকে যায় সারা বিশ্বের অর্থনীতি।
সেইসাথে বিশ্বে প্রাণ হারায় লাখ লাখ মানুষ। সেই বিভীষিকা মহামারির আতঙ্ক না কাটতে কাটতেই আবারো ৫ বছর পর নতুন ব্যাধি আতঙ্কে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন।
এখনও নিশ্চিত হওয়া না গেলেও, প্রাথমিক ধারণা, রাইনোভাইরাস ও হিউম্যান-মেটা-নিউমো (HMP) ভাইরাসের সংক্রমণে দেশটিতে রহস্যময় এই রোগের প্রাদুর্ভাব। এটির লক্ষণ শনাক্ত হয়েছে জাপানেও। ভাইরাসটির মূল লক্ষণ শ্বাসতন্ত্রের জটিলতা।
এটা নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এমনকি এ নিয়ে বাংলাদেশে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।শ্বাসতন্ত্রে ছড়ায় এমন অন্যান্য ভাইরাসের মতোই নতুন এই ভাইরাস বলছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরণের ভাইরাসের আক্রমণের মতোই, যার উপসর্গ হিসেবে জ্বর-স্বর্দি-কাশি-ঠান্ডা হয়ে থাকে। কোভিড-১৯ একেবারে ভিন্ন ও নতুন আবহের ভাইরাস হওয়ায় এর প্রাদুর্ভাব বা মহামারির রেশ এতোটা বিস্তর হয়েছিল। তবে HMP নিয়ে আতঙ্কিত না হবারও পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে শনাক্ত হয়েছিলো HMP ভাইরাস।তাই এখনি বলা যাচ্ছে না বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব আবারো চলে যেতে পারে লকডাউনে।
Leave a Reply