মিরসরাইয়ে জামায়াত কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বিএনপি!

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ বাজারে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে জামায়াতের দলীয় কার্যালয় এবং সমর্থকদের ছয়টি দোকানে তালা দিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জোরারগঞ্জ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বালু ভরাটের কাজ ভাগাভাগি নিয়ে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহান ও সাবেক শিবির নেতা জামাল উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয়পক্ষের চারজন আহত হন। এর জেরে রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা বাজারে জামায়াতের কার্যালয় এবং তাদের সমর্থিত ছয়টি দোকানে তালা লাগিয়ে দেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, তালা দেওয়ার আগে দোকানদারদের মারধর করে বাজার ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের মধ্যে মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “দুপুরে সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলবেঁধে আমাদের দোকানে হামলা চালায়। এভাবে তালা দেওয়া নজিরবিহীন। আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।”

তালা দেওয়া দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে আনোয়ার হোসেনের বেড় তোশকের দোকান, মো. শরীফের ওয়ার্কশপ, শাহানেওয়াজের কনফেকশনারি, মোহাম্মদ নবী ও সোহেলের আসবাব তৈরির দোকান, এবং মো. ইউসুফের রড়-সিমেন্টের দোকান।

জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতের আমির নুরুল হুদা হামিদী বলেন, “বিএনপির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। সমঝোতার ভিত্তিতে দোকান খুলে দেওয়া হলে ভালো। না হলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”

জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মাসুকুল আলম সোহানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “দলীয় কর্মসূচির কারণে সারাদিন চট্টগ্রামে ছিলাম। শুনেছি ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব থেকে সংঘর্ষ হয়েছে। দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনা সঠিক নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

জোরারগঞ্জ থানার ওসি এটিএম সিফাতুল মাজদার বলেন, “এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বাজারে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ও রাজনৈতিক সংঘর্ষের এ ঘটনা নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। বিষয়টি সমাধানে উভয় পক্ষের নেতারা আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *