মতিউর এর পাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর!

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এবার তার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের হজের সময়কার ছবিসহ একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুল প্রচার হয়।

ইতোমধ্যে চাউর হয়েছে, দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া দুর্নীতিপরায়ণ হয়ে উঠেন মতিউর। তার যোগাযোগ রয়েছে আমলা থেকে শুরু করে বড় কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে। তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েই ধনকুবের হয়েছেন তিনি। এমন সংবাদের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে মতিউরের ছবি প্রকাশ পেলো।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো থেকে মতিউরপুত্র মুশফিকুর রহমান ওরফে ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কেনার বিষয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এছাড়া তিনি ঢাকার বিভিন্ন খামার থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কেনেন বলে খবর প্রচার হয়।

এরপর থেকে ইফাতের দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি, ঘড়ি, আলিশান জীবনযাপন এবং মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিং স্পট, বাংলোবাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে অঢেল সম্পত্তি থাকার তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। পুঁজিবাজারেও রয়েছে তার মোটা অংকের বিনিয়োগ।

মতিউরের বড় স্ত্রী লায়লা কানিজ। তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তার নামে রয়েছে বেশি সম্পদ। এছাড়া মতিউর কন্যার কানাডায় বাড়ি আছে।

সূত্র জানায়, একসময় শিবির করতেন মতিউর। বিএনপির শাসনামলে তার উত্থান হয়। তখন থেকেই রাঘববোয়ালে পরিণত হওয়া শুরু করেন। পরে স্বজনদের নামে-বেনামে সম্পদ করতে থাকেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতারের নামেও রয়েছে অঢেল সম্পদ।

এরই মধ্যে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। ইতোমধ্যে তাদের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

অন্যদিকে মতিউরের অঢেল সম্পদ নিয়ে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাছাড়া নানা অনিয়মের অভিযোগে মতিউর, তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *