মাতৃলয়ে মা-বাপের (বৈধ বিষয়ে) আদেশ যেমন মেনে চলতে ছেলে-মেয়ে বাধ্য, তেমনি শ্বশুরালয়ে স্বামীর আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলাও স্ত্রীর প্রকৃতিগত আচরণ। তাছাড়া ধর্মেও রয়েছে স্বামীর জন্য অতিরিক্ত মর্যাদা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।যেখানে মুহতারামকে এক নারী প্রশ্ন করেন, শীতের রাতে ফরজ গোসলের ভয়ে, স্বামীকে আমার সাথে থাকতে দেই না। আমার কি গুনাহ হবে?
জবাবে মুহতারাম বলেন, প্রত্যেক নর এবং নারী সবাইকে ইসলাম জানতে হবে। কতটুকু জানতে হবে, যতটুকু দ্বীনি শিক্ষা নিলে শিক্ষাগুলো দুনিয়াতে আপনি সুন্দর করে চলতে পারবেন। ততটুকু দ্বীন আপনাকে অবশ্যই শিখতে হবে।
রাসুলে কারীম সাঃ বলেছেন ,পৃথিবীর সমস্ত মেয়েরা শুনো, তোমাদের স্বামীদের মর্যাদা আমি এত বেশি দিয়েছি যে, পৃথিবীতে যদি আল্লাহ সুবহানাতায়ালার পরে যদি কাউকে সেজদা করা জায়েজ হতো; তাহলে আমি বলতাম,পৃথিবীর সমস্ত মেয়েলোকদের বলতাম, তোমরা তোমাদের স্বামীদের পায়ে সিজদায় লুটিয়ে পড়ো।
ভিডিও দেখতে: https://youtu.be/29GgSdsQRnU?si=Ol9Vp9yLjtDi5Wb4
অন্য হাদিসে রাসুল সাঃ আরো বলেছেন, তোমাদের স্বামী যদি তোমাদেরকে মিলনের জন্য বা তাদের জরুরী তো তোমাদেরকে ডাকে তাহলে এমন সময় তোমরা যদি খাবার রান্না করা অবস্থায় থাকো; ওই কঠিন সময় যদি তোমাদের স্বামীরা তোমাদেরকে নিজেদের প্রয়োজনের জরুরতে ডাকে তাহলে তোমাদেরকে;
তোমরা তাদের ডাকে সাড়া দাও। খাবার রান্না বন্ধ করে দাও। তাই হাদিস থেকে বোঝা যায় রাতের বেলা ফরজ গোসলের ভয়ে,ফরজ নামাজের ভয়ে, আপনি যদি আপনার স্বামীকে আপনার সাথে থাকতে না দেন তাহলে এটা সম্পূর্ণ নাজায়েজ।
Leave a Reply