পাঁচ দিনেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের আগুন। কিছু কিছু স্থানের দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও এখনো আগুন জ্বলছে ছয় স্থানে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বৃষ্টির অভাব আর ঝড়ো বাতাসই মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
দাবানলে এ পর্যন্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার। ছবি: রয়টার্স
দাবানলে এ পর্যন্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার।
আগুন আতঙ্কে দিন কাটছে লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দাদের। এ আতঙ্ক আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে মোবাইলে আসা বাধ্যতামূলক নিরাপদ স্থানে সরে যেতে প্রস্তুত থাকার সতর্কবার্তা। গেলো পাঁচ দিনেও আগুন নিয়ন্ত্রণের তেমন কোন ভালো খবর মেলেনি। উল্টো নতুন করে আবারও ঝড়ো বাতাসের পূর্বাভাস শঙ্কায় ফেলেছে সবাইকে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দিক পরিবর্তন করে আরও পূর্ব থেকে উত্তর–পূর্ব দিকে ধাবিত হচ্ছে দাবানল। এ কারণে ছয় এলাকায় জ্বলতে থাকা আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে নতুন এলাকায়। দাবানলে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনে পুড়ে গেছে ১০ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো।
দাবানলে এ পর্যন্ত ২০০ বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতির তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকুওয়েদার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলকে ‘যুদ্ধের দৃশ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। শনিবার এক ভাষণে আগামী সপ্তাহের শুরু পর্যন্ত ঝড়ো বাতাস নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
দাবানল থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ শহরটি ছেড়েছেন। শহরের পশ্চিমের সান্তা মোনিকা থেকে মালিবু এলাকা পর্যন্ত জ্বলতে থাকা ‘প্যালিসেইডস’ দাবানল থেকে বাঁচতে সেখানকার মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যেতে বলা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় নানা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
দাবানলের কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে একাধিক সংস্থা। দাবানল নিয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অপরদিকে দাবানল নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ এনে ট্রাম্পের সমালোচনা করেন বাইডেন।
Leave a Reply