এবার বাথরুমে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার!

জুলাই আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে কুবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী অর্ণব সিংহ রায়কে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ জানুয়ারি) সেমিস্টার পরীক্ষা শেষে তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন তারা।

অর্ণব সিংহ গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তার নামে দুইটি মামলাও রয়েছে বলে জানা যায়। আজ মাস্টার্সের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা খোঁজ পেয়ে তাকে ধরতে আসে। এ সময় টের পেয়ে বিভাগের বাথরুমে তিনি প্রায় দুই ঘণ্টা লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে নিয়ে এসে মারধর করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

অর্ণব সিংহ রায়কে মারার বিষয়ে শিক্ষার্থী রাহিম বলেন, তিনি জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আজকে যখন তিনি ক্যাম্পাসে আসে আমরা তাকে ধরতে চাইলে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানের রুমে আশ্রয় নেয়। সেখানে এক-দেড় ঘণ্টা বাথরুমে লুকিয়ে থাকে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যায়। পরে ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তার গায়ে হাত তোলে। তবে ছাত্রলীগ যেভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছিল আন্দোলনে তার সাথে এমনটা করা হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, অর্ণব সিংহ রায় ২৯ জুলাই, ৩ ও ৪ আগস্ট আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদেরকে মারধরের মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবির বলেন, অর্ণব সিংহ রায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। শুধু তাই নই জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর একাধিকবার হামলার সাথে জড়িত ছিল। তাকে বিচারের আওতায় আনা আমাদের দায়িত্ব। আমরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা এসআই বোরহান জানান, অর্ণব সিংহ রায়ের নামে জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি হামলার মামলা রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে তাকে তুলে দিয়েছে। আমরা শিগগিরই ব্যবস্থা নিব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *