ডেসটিনির রফিকুলের সাজা শুরুর আগেই শেষ!

২০১২ সালের ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় সব আসামিকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বহু স্তর বিপণন (এমএলএম) কম্পানি ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ এই মামলার আসামি ১৯ জন।

আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪০-এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ রায় দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমিন ও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ২০১২ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে কারাগারে থাকায় তাদের সাজার মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে আগামী ছয় মাসের মাঝে আসামিদেরকে মামলায় উল্লিখিত অর্থের দ্বিগুণ—অর্থাৎ চার হাজার ৫১৫ কোটি ৫৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৪ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন বিচারক।

আসামিদের মধ্যে জামিনে ছিলেন প্রেসিডেন্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ।

তিনি আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত রায়ে বলেছেন, কারাগারে থাকা আসামিরা এর আগে যত দিন কারাগারে ছিলেন, সাজার মেয়াদ থেকে তত দিন বাদ যাবে।

বাকি ১৫ আসামি পলাতক।

পলাতকদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর এই রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
বিনিয়োগকারীদের দুই হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২২৭ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার কলাবাগান থানায় মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরকার। অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *